বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। ৯৭ শতাংশের বেশি এলাকা এখন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। যে ভিশন তিনি নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হলে বাংলাদেশের পাওয়ার ও এনার্জি খাতকে আরও স্মার্ট করে উন্নয়ন করতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টর একসঙ্গে কাজ করলে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) হলরুমে ’পাওয়ার, এনার্জি অ্যান্ড ডিপ লার্নিং অ্যাপলিকেশন ফর ফোরআইআর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি। এসময় বক্তারা এ সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ২০২২ আইইইই প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির জোসেফ আর লরিং অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান। স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও ২০২২ আইইইই ডব্লিউআইই কমিটি চেয়ার-ইলেক্ট এবং বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ আলোচক হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, আমাদের এখন টেকসই উন্নয়ন ও ব্লু -ইকোনমিতে জোর দিতে হবে। বঙ্গোপসাগরে ইউরেনিয়াম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নবাগত গবেষকরা গবেষণা করে বের করবে, আমরা কীভাবে কাজে লাগাব এই ইউরেনিয়াম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন সক্ষমতা তিনগুণ হয়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এভাবেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলে থাকেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় লাইটটা অফ করবেন। কাজ শেষ হলে চুলাটা অফ করবেন। এটি হচ্ছে- অপচয়রোধে মানুষের ব্যবহারিক অভ্যাস গড়ে তোলা। আমরা এখন ছুটির দিনেও গাড়ি নিয়েও বের হয়ে যাই। অথচ আমরা যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সপ্তাহে একদিন হাটি বা পাবলিক বাস ব্যবহার করি, এভাবে ব্যবহারিক অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ধরিত্রীকে আমরা রক্ষা করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশ বিরাণভূমি ছিল। সেখান থেকে তিনি দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম এ্যাক্ট করেন। তার সেই দূরদর্শিতা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন শেখ হাসিনা।
মাক জাকারবার্গ, বিল গেটস টাকা নিয়ে শুরু করেননি করে উল্লেখ করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, তারা আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। আইডিয়া থাকলে টাকার অভাব হয় না। এসময় জ্ঞানভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী সেমিনার আয়োজন করায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেছেন, পাওয়ার ও এনার্জি পলিসি প্রণয়নের সময় পাঁচটি বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যন্ত্র ও মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে, অপচয় রোধ করতে হবে, ক্রস বর্ডার এনার্জি শেয়ারিং করতে হবে, নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তির উপর জোর দিতে হবে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে, সুযোগও আছে। তথ্য-প্রযুক্তিতেও আমাদের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে শুধু ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি নয়, সায়েন্স ডিপ্লোমেসি ও টেকনোলজিক্যাল ডিপ্লোমেসিতেও আগামী দিনে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।