বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপিসহ সবার স্বাগত জানানো উচিত
রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপিসহ সবার স্বাগত জানানো উচিত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপিসহ সবার স্বাগত জানানো উচিত বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদফতর পরিচালিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প থেকে প্রকাশিত ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতবারও রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেটি যে সঠিকভাবে গঠিত হয়েছিল, তার প্রমাণ হচ্ছে মাহবুব তালুকদার; যিনি নির্বাচন কমিশনের অনেক বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। অনেকে বলেন তিনি বিএনপি বা বিরোধীদের পক্ষ হয়ে কথা বলেন।’
মাহবুব তালুকদার সংলাপের মাধ্যমেই কমিশনার হিসেবে স্থান পেয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এতেই প্রমাণিত হয় সংলাপ কার্যকর। এবারো রাষ্ট্রপতি সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছেন, এজন্য সংলাপ শুরু করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে সংহত করার জন্যই এটি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপিসহ সবাইকে স্বাগত জানানো উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। অনেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে বহুবছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে চর্চা হচ্ছে সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। বাংলাদেশে যে সংলাপ হচ্ছে একে ইতিবাচক হিসেবে স্বাগত জানানো প্রয়োজন ছিল।’
ছাগল খুঁজতে সার্চ কমিটি করা হয় বলে বিএনপি নেতাদের দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন নিজেরা বিশেষ কোনো প্রাণীর মতো আচরণ করে অন্যকেও সেই একই প্রাণীর মতো মনে করে, বিষয়টি ঠিক সেরকম।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানব, রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করার জন্যই। শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যেই সংলাপ শুরু করেছেন। আমি আশা করব বিএনপি যত কথাই বলুক না কেন এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করবে। সবকিছুতে না বলার যে রাজনীতি, বিএনপি সেটি থেকে সরে আসবে। তাদের কোনো আপত্তি থাকলেও সেটিও সংলাপে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রপতিকে বলে আসতে পারেন, সেটিই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি।’
তারা যে কথাগুলো রাজপথে বলছেন সে কথাগুলোও তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলে আসতে পারেন। তাহলে আমি মনে করি সেটিই একটি রাজনৈতিক দলের কাজ হওয়ার উচিত বলে আমি মনে করি, বলেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মুজিবুল হক চুন্নু নিজের স্ত্রী নাসরিন কাদেরের নাম প্রস্তাব করেছেন কমিশনার হিসেবে। এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। আপনার দৃষ্টিতে এটা কেমন হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উনি কেন ওনার স্ত্রীর নাম প্রস্তাব করেছেন, সেই ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারব না, সেটি মুজিবুল হক চুন্নুকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন - প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ।