বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বার্সার সঙ্গে সম্মতিতে পৌঁছলেন তোরেস
বার্সার সঙ্গে সম্মতিতে পৌঁছলেন তোরেস
বার্সেলোনার সঙ্গে সম্মতিতে পৌঁছলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেরান তোরেস। ৫৫ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে দলে ভেড়াচ্ছে কাতালান ক্লাবটি।
খবর ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমের।
জানুয়ারিতে শীতকালীন দল বদলে বার্সেলোনার সঙ্গে যোগ দেবেন ফেরান। গত সেপ্টেম্বর থেকে ম্যানচেস্টারের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। ইনজুরির কারণে তিনি রয়েছেন মাঠের বাইরে।
গত কয়েক বছরে বেশ আলো ছড়িয়েছেন ফেরান তোরেস। এ বছর স্পেনের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন তিনি সবমিলিয়ে ২২ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও নজর কেড়েছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৪৩ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। এসব কারণেই বোধহয় তার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে বার্সার।
তোরেসকে দলে নিলেও বার্সা আছে ঋণের তলে। গত আগস্টের মাঝামাঝি বার্সেলোনা জানিয়েছিল, তাদের ১.৩৫ বিলিয়ন ইউরো ঋণ আছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবের সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেন, বার্সেলোনার ঋণের পরিমাণ ১.৩৫ বিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর জন্য সব দায় নাকি বার্তেমেউ কমিটির। লাপোর্তা কমিটির যুক্তি, বার্তেমেউই বার্সার সভাপতি থাকা অবস্থায় এই ঋণ করে গেছেন। কেননা গত বছরের শেষ মুহূর্তে এসে পদত্যাগ করেন তিনি। লাপোর্তা গত মার্চে দ্বিতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ঋণ করলে সেটি পাহাড়সম অবস্থায় গিয়ে ঠেকত না।
লাপোর্তা বলেন, ‘আমরা যখন ক্লাবের দায়িত্ব নিই, তখন আমাদের বলা হয় অন্তত ৮০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ নেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত গোল্ডম্যান সাকস এই ঋণের অনুমোদন দেয়। এর কারণ ছিল, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো কোনো অর্থই তখন বার্সার ফান্ডে নেই। এ পরিস্থিতি তো আমরা তৈরি করিনি। আগে থেকেই তৈরি করা ছিল।’
তিনি যোগ করেন, ‘আগের কমিটি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আমরা দায়িত্ব নিয়ে দেখি বিষয়টা ভুয়া। মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল। আমরা দেখি, পারিশ্রমিক ছাড়াও বোনাস এবং বিভিন্ন খাতে মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরো ঢেলে দিতে হচ্ছে। যার কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল। অনিয়ন্ত্রিত ব্যয় করা হচ্ছিল শুধু। বার্সার যা ইনকাম, তার চেয়ে ১০৩ ভাগ অর্থ চলে যায় খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক পরিশোধেই। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য যে সব ক্লাব রয়েছে, তাদের চেয়ে যায় ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেশি।’