সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » দেশের ১৫ সংগঠন পেলো ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’
দেশের ১৫ সংগঠন পেলো ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’
ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে দেশের ১৫ ব্যক্তি ও সংগঠন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ‘তোমার জয়ে বাংলার জয়’ স্লোগানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের তরুণ ও যুবসমাজ আমাদের মূল শক্তি। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে তরুণদের শক্তি ও উদ্যোম কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তরুণ বয়স থেকেই নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। অসহায়দের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় সংগ্রাম করেছেন। তাই তরুণদের সকল অবদানকে স্বীকৃতি দিতে সবসময় তাদের পাশে থাকবো। তরুণদের এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে, যাতে তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময়ই তরুণদের গুরুত্ব দেয়। কারণ তরুণরাই মেধাবী। বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়সেই ব্রিটিশবিরোধী, পাকিস্তান বিরোধী ও স্বাধীনতার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে এদেশের তরুণ সমাজ উন্নত হয়, সেদিকে তিনি গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে ফেলি। এরপর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে পড়ে যায়।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ে তোলার, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই সোনার বাংলা এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। সোনার বাংলার স্বপ্ন মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে সমাজের জন্য ভূমিকা রাখা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজকের এই দিনে আমরা স্মরণ করছি ১৯৭১-এর তরুণ প্রজন্মকে। যাদের সাহস ও ত্যাগের কারণে আমরা আজ এখানে এই অনুষ্ঠান করতে পারছি। ভিশন-২০২১ এর পরে ২০৪১-এর দিকেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সবই করতে পারছি তরুণদের ত্যাগের জন্য। তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
অ্যাওয়াড জয়ী ১৫ ব্যক্তি ও সংগঠন
জলবায়ু পরিবর্তন ও উদ্ভাবন বিভাগে শাহানা আফরিন দিনার ‘স্টেপ এহেড’, মোহাম্মদ শামস জাব্বারের ‘টেক একাডেমি’ ও সানজিদুল আলম সেবন শানের ‘ইকোভেশন বাংলাদেশ’। সংস্কৃতি ও যোগাযোগ বিভাগে ইউসুফ ইবনে ইয়াকুবের ‘রিফ্লেক্টিভ টিনস’, রাতুল দেবের ‘জেন ল্যাব’ ও গিরিধর দে’র ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বিভাগে ফাইরুজ ফাইজাহ বেথার ‘মনের স্কুল’, লামিয়া তানজিন তানহার ‘ট্রান্সএন্ড’ ও মাশরুর ইশরাকের ‘থার্ড আই’। দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বিভাগে অমিয় প্রপান চক্রবর্তীর ‘ধ্রুবতারা যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন-ডিওয়াইডিএফ’, এসরাত করিমের ‘অমল ফাউন্ডেশন’, আবু হাসানের (জয়তা পলি) ‘দিনের আলো হিজরা উন্নয়ন মহিলা সংস্থা’ ও শিরিন আক্তার আশার আসমানী যুব নারী ফাউন্ডেশন। এছাড়া সামাজিক উন্নয়ন বিভাগে রিগান কুমার কানুর ‘বাংলাদেশ চা সম্প্রদায় ছাত্র যুব পরিষদ’ ও মো. নুরুল আলমের ‘মেধাবী কল্যাণ সংস্থা-এমকেএস’।
জানা যায়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, তাদের প্রায় ৭০০ আবেদন যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত পর্বের জন্য ৩১ ব্যক্তি ও সংগঠনকে মনোনীত করা হয়। সেখান থেকে ১৫ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত বাকি ১৬ জনকে ল্যাপটপসহ অন্যান্য পুরষ্কার দেওয়া হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা দেশের তরুণদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। ইয়াং বাংলা ২০১৪ সাল থেকে দুই বছর পরপর জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। তবে এবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এক বছর পরই পঞ্চম আসরের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।