বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পাকিস্তানি দোসরদের উত্তরসূরিরা দেশে ও দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো যড়যন্ত্র করছে। পঁচাত্তরের প্রলয়ংকরী ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বরেন,এসব ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে সকল শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার আ জবুদবার রাজধানীর টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বিজয় দিবস শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যার যা কিছু ছিলো তাই নিয়ে এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে। তিনি বরেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিও এবং ইউপিইউ সদস্য পদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব আরোপ এবং প্রথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে দেখিয়ে গেছেন বাংলাদেশ এ পথেই যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ আবদুল হান্নান বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার এবং বিসিএস টেলিকম ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: আবু তালেব মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
টেরিযোগাযোগ মন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সকল দপ্তর ও সংস্থাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব অপরিসীম।
‘আমাদের শিশুদের জন্য যে সময় দিয়েছি, এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় এ কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, এদেশের কিছু পাকিস্তানি দোসর রাজাকার, আলবদর আলশামস ছাড়া প্রতিটি মানুষ প্রত্যক্ষক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধ করেছে। এ দেশের মায়েরা নিজেরা না খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়েছেন, আশ্রয় দিয়েছেন এমনকি ৫বছরের শিশুরাও হানাদার বাহিনীর গতিবিধির সংবাদ বহন করে মুক্তিযোদ্ধাদের পৌঁছে দিয়েছেন। পরোক্ষক্ষ যোদ্ধা হিসেবে তাদেরর স্বীকৃতি পাওয়া উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।