মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » জ্যামাইকাতে বাংলাদেশি দূতের পরিচয়পত্র পেশ
জ্যামাইকাতে বাংলাদেশি দূতের পরিচয়পত্র পেশ
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকাতে সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত কিংস্ হাউজে দেশটির গভর্নর জেনারেল স্যার প্যাট্রিক লিন্টন অ্যালেনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্ট্রদূত।
পরিচয়পত্র পেশকালে জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল, সরকার ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
রাবাব ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও ঘনিষ্ঠ করার জন্য আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও জ্যামাইকা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও সম্প্রসারিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
গভর্নর জেনারেল ফাতিমার মঙ্গল কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আগে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মীথের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ সময় জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নারী নেতৃত্বের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন স্মীথ।
জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত ফাতিমা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন এবং উভয়েই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার গভীর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন ফাতিমা। তিনি বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে নিয়মিত ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) আয়োজনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, এটি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার একটি প্লাটফর্ম হতে পারে। ফাতিমা দু’দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়েরও প্রস্তাব করেন এবং জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।