সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩
তবে গুনতে হবে আট থেকে ১০ লাখ টাকা। নিয়োগপত্র নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে গিয়ে টনক নড়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের। জানতে পারেন সবই নকল। সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। দুই দফায় চক্রটির ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি বলছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য।
১০ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীতে সৈনিক ও অফিস সহকারী পদে চাকরির শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
আসামিদের দেওয়া তথ্যে ১২ ডিসেম্বর আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এদের মধ্যে মজিবুর রহমান ও ইকবাল হোসেন নিজেদের মেজর পরিচয় দিতেন। সামশুল আরেফিন পরিচয় দিতেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর। তারাও একই কায়দায় অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
সিআইডি বলছে, সরকারি চাকরির নামে বেকারদের টার্গেট করত চক্রটি। টাকার বিনিময়ে তাদের হাতে তুলে দিতো ভুয়া নিয়োগপত্র। এই চক্রটির কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শামসুন নাহার বলেন, একটি চক্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চারকরি দেওয়া নামে প্রতারণা করে আসছিল। তারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে এমন পরিচয়ে কাজটি করত। রাজধানীর বাড্ডা এলাকাতে থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া করত, বাকি দুজন নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে ইন্টারভিউ নিত তারপর তাদের ভুয়া কাগজপত্র দিত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে টাকার বিনিময়ে চাকরি খোঁজা বন্ধ করার আহ্বান সিআইডির।