শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » নারীরা ঘুরে দাড়িয়েছে : লিপি ওসমান
নারীরা ঘুরে দাড়িয়েছে : লিপি ওসমান
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, আপনারা জানেন কমলা রঙের মানে কী, এর মানে শুধু সৌভাগ্য না। কমলার মানে উদ্দীপনা, ক্রিয়েটিভিটি, জয়, সংসার। নারী নির্যাতন বন্ধ হলে পৃথিবীটা সুন্দর হবে। সেজন্য বলা হচ্ছে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এজন্য আমরা নেমে পড়েছি। আমরা যে নেমে পড়েছি তার প্রমান আজকে মহিলা সংস্থা ও বিভিন্ন জায়গায় নারীদের পার্টিসিপেশন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকারও নারী বিভিন্ন জায়গায় নারীরা বসে আছে। তাদের অংশগ্রহন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত জ্বলছে। এটার মানে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাত প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে আল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহিলা সংস্থার নবাগত জেলা কর্মকর্তা লায়লা আরজুমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিদায়ী জেলা মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা আব্দুর বাকি, ডা. প্রভেসর শিরিন বেগম, কামরুননেছা মিতালী, ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, মাহমুদা রহমান ডালিয়া। অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজ সেবা জন্য সম্মানে ভূষিত হওয়ায় লিপি ওসমান সংবর্ধনা দেয়া হয়।
লিপি ওসমান বলেন, আমরা অনেকদিন একসাথে কাজ করলাম। তিনি খুব সাপোর্টিভ, উনি শিখতে সাহায্য করেছেন দৌড়াদৌড়ি করেছেন। তার অনেক অবদান রয়েছে। আমার শুনতেই খুব খারাপ লাগছে তিনি চলে যাবেন। বিদায়টা সবসময়ই কষ্টের।
তিনি বলেন, এমন একটা মনোভাব নিয়ে জন্মেছি, কেউ চলে যাবে শুনলে সে যেই হোক না কেন তার যায়গাটা খালি হয়ে যাচ্ছে আরেক জন আসবে। তাই চলে যাওয়াটা আমার জন্য কস্টকর হয়। আগে নিজের ইমোশনকে সামলাতে পারতাম। এক ইউএনওর বিদায় অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয়েছিল। সেদিন প্রথম আমি কোন বিদায় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেদিন নিজেকে সামলাতে না পেরে মাইকের মধ্যে এমন ভাবে কাঁদছিলাম যে সবাই মনে করেছিল সে মহিলা হয়ত আমার কেন আত্মীয় হবে। বিদায়টা আমার জন্য সবসময় কষ্টের বারী সাহেব চলে যাচ্ছেন। মহিলা সংস্থার আমরা যারা আছি, তাকে অসম্ভব মিস করবো এবং তাকে সবসময় মনে রাখবো। আশা রাখবে তিনিও আমাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি আজকে যিনি নতুন এসেছেন লায়লা আরজুমান। আমি আশা করবো তিনিও আমাদের সাথে একই ভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। যে লক্ষ্যে সরকার এ প্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন আমরা যেন সে লক্ষ্য পূরন করতে পারি। এখানে যারা আছেন সকলের জন্য বিজয়ের শুভেচ্ছা। আমাদের এগুলো মুখস্থ করলে হবে না, ভেতর থেকে ধারণ করতে হবে। যেন মাইক হাতে নিয়ে হাত পা না কাপে। দৃঢ়তার সাথে তখনই বলতে পারবো যখন অন্তরে দৃঢ় ভাবে ধারণ করবো।
তিনি বলেন, সৃষ্টির ইতিহাসের পরে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ ছিল। মেয়ে বাচ্চা জন্ম নিলে জীবিত দাফন করে দেয়া হত। যেখান থেকে আজকের দৃশ্য ঘুরে দাড়িয়েছে। লন্ডনে নারীরা নির্যাতিত হত, তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এশিয়াতে যে নারী নির্যাতন হত তা বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় উঠে আসত। এখন আরও বেশি উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে মানুষ হিসেবে। আমরা যখন আমাদের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো তখনই আমরা সফল হবো। আমাদের সহনশীলতা ও ধৈর্য যেন আমাদের দুর্বলতা না হয়। কোরআন বলেছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ক্ষমা করতে। তার সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমাশীল হয় নারীরা।