শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ডাক টিকেট প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত : মোস্তাফা জব্বার
বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ডাক টিকেট প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ গর্বিত : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন উন্নত বা পশ্চিমা কোনো দেশের আগে প্রথম ডিজিটাল ডাক টিকেট প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারাটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন,‘ বিশ্বের প্রথম ডাক টিকেট প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারায় আমরা আমরা গর্বিত জাতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে ওঠায় এই ঐতিহাসিক কাজটি আমরা করতে পেরেছি। এটি বাঙালী জাতির গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব। এটি ভাবতেই বুকটা ভরে যায় যে, কোন উন্নত বা পশ্চিমা দেশ নয় ডিজিটাল ডাক টিকেট প্রদর্শনী আমরা প্রথম করলাম।’
মন্ত্রী বলেন, এর ধারাবাহিকতাতেই আমাদের ডাক অধিদপ্তর ডিজিটাল হচ্ছে। এর প্রারম্ভিক কাজ বেশ এগিয়েছে এবং আমাদের ডাক টিকেট বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেখতে পাবে।
মন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজধানীতে অনলাইনে ফেডারেশন অব ইন্টার এশিয়া ফিলাটেলির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল স্মারক ডাকটিকেট প্রদর্শণীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফসর ড. কাজী শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন, এফআইপি’র প্রেসিডেন্ট বার্নার্ড বেস্টন এবং এফআইএপি’র প্রেসিডেন্ট ড. প্রকোপ চিরাকীতি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, স্মারক ডাক টিকেট ইতিহাসের বাহক। স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশের মাধ্যমে রেখে যাওয়া জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্মরণীয় করে রাখা যায় এবং যখন খুশি যে কেউ ডাক টিকেটের মাধ্যমে ইতিহাসকে তার চোখের সামনে দৃশ্যমান করতে পারেন।
তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ২০২১’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ডাক প্রর্শণীকে একটি সময়োপযোগি উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করে বলেন,বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপণ করে গেছেন। তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বীজ বপণ করা হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের অংশীদার করেন ও ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লবের জন্য ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ জ্ঞান ভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী ৩টি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এ প্রদর্শনী দেখার জন্য www.bangabandhu2021.com
ওয়েবসাইডটে লগ ইন করতে হবে।
পরে মন্ত্রী এ উপলক্ষ্যে একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।