আল কোরআন ও আল হাদিস
আল কোরআন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম:
সূরা আনফাল
মদীনায় অবতীর্ণ। আয়াত : ৭৫; রুকূ : ১০
৩৮. তুমি কাফেরদেরকে বল, ‘তারা যদি অনাচার থেকে বিরত থাকে তাহলে তাদের পূর্বের অপরাধ যা হয়েছে তা আল্লাহ ক্ষমা করবেন। কিন্তু তারা যদি অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত তো রয়েছেই।’
৩৯. তোমরা সর্বদা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকবে যতক্ষণ না ফেতনার অবসান হয় এবং দ্বীন সম্পর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। আর তারা যদি (ফেতনা ও বিপর্যয় সৃষ্টি হতে) বিরত থাকে তাহলে তারা যা করে তা তো আল্লাহ দেখেই থাকেন।
৪০. আর যদি তারা দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রেখো, আল্লাহই তোমাদের (মুসলিমদের) অভিভাবক। তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক ও সাহায্যকারী।
দশম পারা
আল হাদিস
ওহীর পর বাহ্যিক কর্মকাণ্ডেই ব্যক্তির মান নির্ণিত হবে:
আব্দুল্লাহ্ বিন উতবা বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনেছি: রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে মানুষকে ওহীর মাধ্যমে যাচাই করা হত। আর এখন তো ওহী বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা এখন থেকে তোমাদের যাচাই করবো তোমাদের বাহ্যিক কাজ-কর্মের ভিত্তিতে। যে ব্যক্তি আমাদের সামনে ভাল কাজের প্রকাশ ঘটাবে, আমরা তাতে বিশ্বাস করবো এবং তাকে নিকটবর্তী বলে গ্রহণ করে নেবো, আর তার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার আমাদের দেখার দরকার নেই। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজের প্রকাশ ঘটাবে অর্থাৎ বাহ্যত মন্দ কাজ করবে, তবে সে যদিও বলে যে, তার আভ্যন্তরীণ অবস্থা খুবই ভাল, তবুও আমরা তার কথা মানবো না এবং তার কথা বিশ্বাসও করবো না।
(ইমাম বুখারী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)