বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে : পলক
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে : পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় তা বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
২০৪১ সালের রূপকল্প পূরণে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখেন ও দেখান না, তিনি সফলভাবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেন। যার প্রমাণ আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১” উপলক্ষ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং দিবসটির কর্মসূচী ঘোষণা করতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মুহূর্ত দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করেছেন। আর যার সুফল আমরা সকলে ভোগ করছি।
আগামী ১২ ডিসেম্বর ৫ম “ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১” উদযাপিত হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো-“ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত দেশের সকল জনগণ”।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সে সময় অনেকেই আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করতে পারেননি। কারণ সে সময় মাথাপিছু আয় ছিল খুবই কম। বিদ্যুৎ, আইসিটি ও ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রায় ছিল না বললেই চলে। গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তো দূরের কথা, অনেক বিভাগীয় শহরেও ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল না।
তিনি আরো বলেন, সে সময়ে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না, ছিল না কোন বিশেষায়িত কোন ল্যাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সে সময় উপলদ্ধি করেছিলেন যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আর সে জন্যই তিনি নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পলক বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের সর্বশেষ অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, ২০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, ৫২ হাজার ওয়েবসাইট, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সহ ১৫ শ’ ধরণের সেবা দেশের মানুষ গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে, ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফাইন্যান্সিংয়ের সুবিধা পাচ্ছে। এতে দুর্নীতি ও অপচয় দূর করে স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। দেশের ১৭ কোটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পাচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১-এর কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ১২ ডিসেম্বর সকাল ৭ টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৮ টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা হতে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে জাতীয় সেমিনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালী) এতে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিকেল তিনটায় ইউনাইটেড সিটির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ৫ ঘন্টাব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর নিজ নিজ সাফল্য ও অর্জন নির্ভর আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করবে। বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশ মিশনে দিবসটি একযোগে দিবসটি উদযাপিত হবে।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা, আবৃতি, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, সভা সেমিনারের আয়োজন করা হবে। সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিতে অনন্য অবদানের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার ২০২১ প্রদান করা হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’র লোগো উন্মোচন করেন।