বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » মেসির রেকর্ডের রাতে বড় জয় পেল পিএসজি
মেসির রেকর্ডের রাতে বড় জয় পেল পিএসজি
লিওনেল মেসি রেকর্ড ছুঁয়েছেন। কম যাননি কিলিয়ান এমবাপ্পেও। দুজনই জোড়া গোল করেছেন। দলের সেরা দুই তারকার নৈপুণ্যে পিএসজি ঘরের মাঠে বড় এক জয়ই পেয়েছে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে। ৪-১ গোলের জয় নিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করেছে দলটি। এদিকে ক্লাব ব্রুগের হয়ে একমাত্র গোলটি ম্যাটস রিটসের।
অথচ ইনজুরি কাটিয়ে আসার পর এ ম্যাচে মেসি খেলবেন কি না সেটি নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, দলের পক্ষ থেকেও আভাস পাওয়া যাচ্ছিল হয়তো এ ম্যাচে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। কিন্তু গুঞ্জন মিথ্যা প্রমাণ করে তিনি পার্ক দেস প্রিন্সেসে নামলেন, খেললেন এবং জয় করলেন। তবে চোটের কারণে খেলতে পারেননি নেইমার। রামোসও মাঠের বাইরে ছিল।
এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পান এমবাপ্পে। পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয়বার ব্রুগের জাল কাঁপান ফরাসি স্ট্রাইকার, তাতে ম্যাচ ১০ মিনিট গড়ানোর আগেই পিএসজির লিড ২-০ গোলে।
ম্যাচের বাকিটা সময়ও আধিপত্য বজায় রেখেছিল ফ্রান্সের ক্লাবটি। ৩৮তম মিনিটে ম্যাচের স্কোর লাইন দাঁড়ায় ৩-০, এবার পিএসজির হয়ে গোলের দেখা পান দলটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। মেসির গোলে অ্যাসিস্ট কিলিয়ান এমবাপ্পের।
৩-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। বিরতির পর ৬৮তম মিনিটে ব্রুগের হয়ে ব্যবধান কমান রিটস। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে, ৭৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান মেসি।
পেনাল্টির মাধ্যমে ব্রুগের জালভেদ করেন তিনি। এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্সলিগে প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে ৩৯টি ক্লাবের বিপক্ষে জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। এই গোলের মাধ্যমে তিনি ছাড়িয়ে যান পেলের ৭৫৭ গোলের রেকর্ড। মেসির অফিসিয়াল গোলসংখ্যা এখন ৭৫৮।
এ জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোয় পা রাখল ফরাসি জায়ান্টরা, টেবিলে তাদের অবস্থান দুই। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা ম্যানচেস্টার সিটি, যদিও এদিন আরবি লাইপিজিগের বিপক্ষে ২-১ গোলে হার বরণ করেছে ইংলিশ ক্লাবটি। তবে এ হারের পরও ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় পা রেখেছে সিটিজেনরা।
গত কয়েক মৌসুম ধরেই ম্যানচেস্টার সিটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম ফেবারিট ধরা হচ্ছে। সেই ম্যানসিটির হার তাই হতাশ করে ফুটবলপ্রেমীদের। গত মৌসুমেও শিরোপার অন্যতম প্রত্যাশী থেকে ফাইনালে হেরেছে চেলসির বিপক্ষে।
রেড বুল অ্যারেনায় ২৪তম মিনিটে প্রথম গোলটি হজম করে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। লাইপজিগের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন আন্দ্রে সিলভা। রিয়াদ মাহরেজ অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে একটি গোল শোধ করতে সক্ষম হন। ম্যাচের ৮২তম মিনিটে আরও একটি ধাক্কা খায় পিছিয়ে থাকা সিটিজেনরা। এ সময় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাইলে ওয়াকার। শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ম্যানসিটিকে।