মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে: দীপু মনি
বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে বাংলাদেশকে জানার জন্য, আমাদের নিজেদের ইতিহাসকে ও আমাদের সংগ্রামের অর্জনের ইতিহাসকে জানার জন্য। তাই ‘আমাদের বই পড়া কর্মসূচিতে’ বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লেখা তিনটি বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিজয় পথেপথে’ অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব বইয়ের মধ্য থেকে কিছু অংশ আমরা পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বঙ্গমাতার জীবন আমরা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করেছি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বইগুলোর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা শুরু হয়েছে। যাতে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে সব সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারবো। আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থানে আছি। আগামীতেও আমরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো, তাহলে খুব বেশি আশংকার কিছু থাকবে না। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।
দীপু মনি বলেন, খুনি মোস্তাকের হাত ধরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো। সেই ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিলো। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করে যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলো। সেই অপরাধীরা ৭১, ৭৫, ২০০৪, ২০১৩ ও ২০১৪-তে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবার বাংলাদেশকে ফিরেয়ে এনেছেন। ইতিহাসের সত্যকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রা তা শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে। অনেক শক্তিশালী দেশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিদেশি সাহায্য ছাড়া তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল। তাই সব বাঁধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ডা. দীপু মনি আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও আগত অতিথিদের শপথ বাক্যপাঠ করান। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও পরে থিমসং পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, মো. ফিরোজ খান ও বদরুদ্দোজা বদর বক্তব্য রাখেন। পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।