মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিট পাচ্ছে ৫ মেডিকেল হাসপাতাল
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিট পাচ্ছে ৫ মেডিকেল হাসপাতাল
দেশের পাঁচ জেলার পাঁচটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট’ স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জেলাগুলোতে এটি স্থাপন হলে সাশ্রয়ী মূল্যে পোড়া ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের মানসম্পন্ন চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট অ্যাট ৫ মেডিকেল কলেজ হসপিটালস (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুর)’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।
এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২০২ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ২৫৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। একনেকে অনুমোদনের পর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন ২০২৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পে প্রায় ৫০০ জন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং সহায়তা কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, ৫টি বিদ্যমান ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও সংস্কার (১৯৯৩৪.৭৮ বর্গমিটার), ২ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৭টি মেডিকেল ও সার্জিক্যাল সরঞ্জাম সংগ্রহ, ১৪ হাজার ২২টি আসবাবপত্র ক্রয় এবং ১টি জিপ ক্রয় করা হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন ও অধিগম্যতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের চিহ্নিত সূচকগুলোর অগ্রগতি অর্জন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্য পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় জনগণের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবায় অভিগম্যতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালীকরণ, দক্ষতার উন্নয়ন ও সমতা নিশ্চিতকরণের সহায়ক হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।