মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ওমিক্রন নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকার
ওমিক্রন নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকার
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকানোর নামে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে ভ্রমণ বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছে নাইজেরিয়া।
ব্রিটেনের সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী। এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত নাইজেরিয়ার হাইকমিশনার সরাফা তুনজি ইসোলাও।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ইউরোপ ও পশ্চিমাদেশগুলো। ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ জানালেও বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বার্থে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউনের বিপক্ষে মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় ব্রিটেন। যুক্তরাজ্যের লাল তালিকাভুক্ত সব দেশই আফ্রিকার। এই তালিকায় সোমবার ১১তম দেশ হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে নাইজেরিয়া। নতুন নিয়মে নাইজেরিয়া থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে গেলে তাকে ১০ দিন হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
সবশেষ আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের লাল তালিকাভুক্ত করায় তীব্র সমালোচনা করেছেন নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী লাই মোহাম্মদ। আফ্রিকার দেশগুলোকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুক্তরাজ্য বর্ণবৈষম্য করছে বলে মন্তব্য করেন লাই।
আরও পড়ুন: ২০২১-এর নোবেল বিজয়ীর দৃষ্টিতে ইতালির শিক্ষা ও গবেষণা
নাইজেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী লাই মোহাম্মদ বলেন, মাত্র কয়েকটি ওমিক্রন আক্রান্তের ঘটনায় নাইজেরিয়াকে লাল তালিকাভুক্ত করা যুক্তরাজ্যের একটি শাস্তিমূলক আচরণ। এমনকি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞান বা বৈজ্ঞানিক কোনো পদ্ধতিও মানা হয়নি।
একইদিন আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ কড়াকড়িকে ‘ভ্রমণ বর্ণবাদ’ আখ্যা দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত নাইজেরিয়ার হাই কমিশনার সরাফা তুনজি ইসোলা। তার অভিযোগ, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পদক্ষেপ না নিয়ে বেছে বেছে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটেনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাধারণ নাইজেরীয়রাও। এমনিতেও অর্থনৈতিক সংকট তার ওপর হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচ মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে নাইজেরিয়ার মানুষের ওপর।