সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » সংশোধিত তামাক আইন শিগগিরই সংসদে উপস্থাপন করা হবে
সংশোধিত তামাক আইন শিগগিরই সংসদে উপস্থাপন করা হবে
বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হবে। সংশোধিত আইনটি শিগগিরই সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, আমাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। তামাক থেকে আমরা যে রাজস্ব পাই, তার চেয়েও অনেক বেশি খরচ হয় আমাদের চিকিৎসা খাতে। তাই তামাকমুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত এক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তামাক সংশ্লিষ্টরা সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তামাকের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরও কমাতে হবে। আমরা শিগগিরই তামাক আইন সংশোধন করে সংসদে আনব। সংসদ সদস্যদের মাধ্যমেই তা পাস হবে।
সেমিনারে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, সংশোধিত আইনে অবশ্যই স্মোকলেস ট্যোবাকো বন্ধে জোর দিতে হবে। এগুলো যে করেই হোক বন্ধ করতে হবে। যারা ধূমপায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করছেন তাদের নিয়ে সেমিনার করতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো জানতে হবে। তাহলে গবেষণায় ফল পাওয়া যাবে। পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তামাক আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে ১৫২ জন সংসদ সদস্যের সই করা একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, পাঠ্যবইতে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ধূমপায়ীদের কাউন্সিলিং ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে সেমিনারে পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো, পাবলিক প্লেস, পাবলিক ট্রান্সপোর্টসহ সবখানে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন বন্ধ করা; তামাক কোম্পানির সব স্পন্সরশিপ ও করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৯০ শতাংশের বেশি রাখা; খুচরা ও কম সংখ্যক সিগারেট বা বিড়ি বিক্রি বন্ধ করা; ই-সিগারেটসহ সব ধরনের হিটেড ট্যোবাকো বিক্রি ও আমদানি বন্ধ করা এবং ১৯৫৬ সালের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তামাক পণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরিচালক কাজী জেবুন্নেছা বেগম, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান, বেগম হোসনে আরা, আদিবা আনজুম মিতা, বাসন্তী চাকমা, আফতাব উদ্দিন সরকার, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল প্রমুখ।