সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের গভীর সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বহিঃপ্রকাশ মৈত্রী দিবস ২০২১ - স্পীকার
ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের গভীর সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বহিঃপ্রকাশ মৈত্রী দিবস ২০২১ - স্পীকার
ঢাকা, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের গভীর সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বহিঃপ্রকাশ মৈত্রী দিবস ২০২১। বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও অবদান সর্বদা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দারিদ্র্য, অসমতা ইত্যাদি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অতীতের ন্যায় ভারত-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্পীকার।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘মৈত্রী দিবস ২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পীকার এসব কথা বলেন। এসময় স্পীকার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে মরণোত্তর পদ্মভূষণ পুরস্কার, এনামুল হককে পদ্মশ্রী পুরস্কার, ল্যাঃ কর্নেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলীকে পদ্মশ্রী পুরস্কার ও সানজিদা খাতুনকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করেন।
স্পীকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। কোভিডকালীন সময়ে তার দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও অকৃত্রিম প্রতিবেশী বন্ধু। ভারতই প্রথম রাষ্ট্র যে ১৬ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবার পূর্বেই ৬ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদারকরণে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান স্পীকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এদেশ সফর ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে জোরদার করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ একই সীমান্ত ব্যবহারের পাশাপাশি ৫৪টি সাধারণ নদী ব্যবহার করে থাকে। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সন্ত্রাস দমন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। গঙ্গা পানিচুক্তি, তিস্তা পানিবন্টনসহ আরো কিছু বিষয়ে উভয় দেশের সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দ্বোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে ও শেখ নাজিয়া জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি এমপি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এমপি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এমপি, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান এমপি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।