শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » মোহাম্মদ হানিফ তাঁর কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন : রাষ্ট্রপতি
মোহাম্মদ হানিফ তাঁর কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, মোহাম্মদ হানিফ তাঁর কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। আগামীকাল ২৮ নভেম্বর ‘মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত প্রথম মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি রাষ্ট্রপতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী পুরানো ঢাকার সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল মোহাম্মদ হানিফের জন্ম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা। সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মোহাম্মদ হানিফ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন দুঃখী মানুষের আপনজন। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে মোহাম্মদ হানিফ গুগরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালে ট্রাকমঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা হলে তিনি মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। নিজের জীবন বাজি রেখে নেত্রীকে বাঁচাতে আত্মত্যাগের এ উদাহরণ সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর জন্য সবসময় অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
আবদুল হামিদ বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। নীতি ও আর্দশের সাথে তিনি ছিলেন সবসময় আপসহীন। কোনো ধরনের প্রলোভন তাঁকে কখনো আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। এই কর্মবীর জননেতা ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মাধ্যমে। তিনি মোহাম্মদ হানিফের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।