শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রংপুর | শিরোনাম » বেড়েছে ধানের উৎপাদন, কৃষকের মুখে হাসি
বেড়েছে ধানের উৎপাদন, কৃষকের মুখে হাসি
রংপুরে নবান্ন উৎসবের আনন্দ ঘরে ঘরে।। প্রতি হেক্টর জমিতে বেড়েছে ধানের উৎপাদন। করোনা আর শেষ মুহূর্তে তিস্তার বন্যা সত্ত্বেও ভালো ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, যে কোনো বছরের তুলনায় এবার বেশি ধান গোলায় উঠাবেন তারা।
ক্ষেত থেকে কেটে বাঁধা আঁটির ভার কাঁধে কাঁধে যাচ্ছে কৃষকের উঠানে। সেখানে ঝাড়া-মাড়াইয়ের পর নতুন ধান গোলায় তুলছে কৃষক। একেতো করোনা, তারওপর শেষ মুহূর্তে তিস্তার বন্যার ক্ষতির পরও পাকা ধানের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। কৃষকের মনের আনন্দ-সুরের ঢেউয়ে মুখরিত সোনালি প্রান্তর।
কৃষকরা বলছেন, এবার ফলন খুবই ভালো হয়েছে, প্রত্যাশারও অধিক।
নানান কারণে এবার নবান্ন পহেলা অগ্রহায়ণে ধরে রাখা না গেলেও ভালো আবাদের আনন্দ আছে ঘরে ঘরে। খেত থেকে ধান কুড়িয়েও আবহমান বাংলার এই নবান্ন উৎসবে শামিল ভূমিহীন-জমিহীন পরিবারগুলোও।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলছেন, যে কোনো বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন কৃষকের মনে আনন্দ জুগিয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এবার জেলায় প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কাটা-মাড়াই করে প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ১৬ মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেছে। গত বছর যা ছিলো ২ দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন।