মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » আমন সংগ্রহ অভিযান জোরদারের আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
আমন সংগ্রহ অভিযান জোরদারের আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাগণকে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, কৃষকের আমন ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দামও নির্ধারণ করেছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাগণকে আরও মনোযোগী হতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২১-২২ এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়’ এ আহ্বান জানান। খবর তথ্য বিবরণীর।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যে সকল জেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকিউরমেন্ট শতভাগ অর্জিত হবে, প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। যে সকল জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবেনা তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
উত্তরাঞ্চলকে শস্যভান্ডার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চল থেকে বেশি ধান সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহকালে কোন কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ধান চালের অভাব নেই। বিগত সময়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এই সময়ে দেশে চালের অভাব হয়নি। এতে প্রমাণ হয় চালের যথেষ্ঠ মজুত থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ চালের মজুদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবেনা। ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে।
জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমন সংগ্রহ সম্পন্ন করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাগণকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবহাওয়া অনুকূলে আছে। এখনই প্রকিউরমেন্ট জোরদার করতে হবে।
অবৈধ মজুতদারীর বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাদ্য শস্য মজুদ করতে পারবেনা। ফুড গ্রেড লাইসেন্সধারীকে পাক্ষিক ক্রয় বিক্রয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে বলে জানান তিনি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তৃতা করেন। খাদ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক,খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকগণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।