রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সুদানে প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরলেন ক্ষমতাচ্যুত হামদক
সুদানে প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরলেন ক্ষমতাচ্যুত হামদক
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেওয়া সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের রাজনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর আব্দাল্লা হামদককে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। রোববার এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে ফেরানো হয় বলে খবর দিয়েছে আলজাজিরা।
অভ্যুত্থানের এক মাস পর অস্থিতিশীল সুদানে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতায় ফেরাতে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের রাজনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে রোববার। রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে স্বাক্ষরিত ১৪ শর্তের ওই রাজনৈতিক চুক্তিতে হামদককে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহালের অঙ্গীকার রয়েছে।
চুক্তির বিস্তারিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চুক্তিটি অভ্যুত্থানের সময় আটক সকল রাজবন্দির মুক্তির নিশ্চয়তা এবং ২০১৯ সালের সাংবিধানিক ঘোষণা রাজনৈতিক উত্তরণের ভিত্তি হবে।
এক বিবৃতিতে হামদক বলেছেন, এই বলে আমার শুরু করা উচিত যে, আমাদের দেশ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর রক্ষা করেছেন এবং সুরক্ষিত রেখেছেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে আমরা যেখানে পৌঁছাই না কেন, আমার সহকর্মী সুদানি জনগণ দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
সুদানের রাজনৈতিক দল উমা পার্টির প্রধান ফাদাল্লাহ বারমা নাসির সামরিক-বেসামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা করেছেন। রোববার তিনি বলেছেন, সুদানের সকল বেসামরিক রাজনৈতিক দল এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক টেকনোক্র্যাট (অনির্বাচিত) ব্যক্তিদের দিয়ে একটি স্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। এছাড়া অভ্যুত্থানের পর আটক হওয়া সকল রাজনৈতিক বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।
শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে উমা পার্টির প্রধান ফাদাল্লাহ বারমা নাসির অংশ নেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। পরে মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় উভয়পক্ষ।
গত ২৫ অক্টোবর অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে আটক করে সুদানের সেনাবাহিনী। সুদানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে এই ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির হাজার হাজার নাগরিক প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করে আসছেন।
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় এখন পর্যন্ত বহু প্রাণহানি এবং বেশ কয়েকজন গণতন্ত্রকামীকে আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হন।