রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » দ্য ইউনাইটেড নেশনস সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ প্রকাশিত
দ্য ইউনাইটেড নেশনস সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ প্রকাশিত
আজ ঢাকায় এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের উদ্যোগে দ্য ইউনাইটেড নেশনস সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬ প্রকাশিত হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হয়েছে।
এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সেই অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে করোনা পূর্ববর্তী গত এক দশক আমাদের গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এমনকি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ মহামারিকালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে। স্বাধীনতার লগ্ন থেকেই জাতিসংঘ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ও বিশ্বস্ত অংশীদার এবং আমাদের সার্বিক উন্নয়ন অর্জনে এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে আবারও গতি অর্জনে এই ফ্রেমওয়ার্ক ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহযোগী হিসাবে পূর্বের ন্যায় কাজ করবে বলে অর্থমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জন এবং এই উন্নয়নের সুবিধাসমূহ যেন সবাই সমানভাবে পায়, তা নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব। বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলোর জীবনে বাস্তব ও টেকসই পরিবর্তন আনার লক্ষ্য অর্জনে এই ফ্রেমওয়ার্ক কাজ করবে।
উক্ত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা, বাংলাদেশে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রধানগণ, নিউইয়র্কে ইউএন ডেভেলপমেন্ট কোঅরডিনেশন অফিসের পরিচালক রবার্ট পাইপারও পূর্ব-ধারণকৃত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং জাতিসংঘের পক্ষে আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো যৌথভাবে মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।