শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম | স্বাস্থ্য » করোনার উৎপত্তি নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ
করোনার উৎপত্তি নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে করোনার উৎপত্তি কোথায় বা কিভাবে হয়েছে তা নিয়ে একমত হতে পারেননি তারা। নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আক্রান্ত প্রাণির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে এই ভাইরাস। আর কারও কারও মতে, ল্যাবে গবেষণার সময় কোনোভাবে সেটি প্রথম কোনও ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করেছে। খবর ইউএসএ টুডের।
বাইডেন প্রশাসন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস ‘একটি জৈব অস্ত্র হিসেবে উন্নয়ন’ করা হয়নি। এমনকি ২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে এই মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই জানতো না বেইজিং। শুক্রবার ওই প্রতিবেদনের একটি সংক্ষিপ্তসারে এমনটাই জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাপ্ত সব গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গোয়েন্দা কমিউনিটি কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য উৎপত্তি নিয়ে বিভক্ত রয়েছে। সব সংস্থাই সম্ভাব্য দুটি হাইপোথিসিসের কথা বলেছে, আর তা হচ্ছে- আক্রান্ত কোনও প্রাণির সংস্পর্শে আসা এবং ল্যাবের কোনও ঘটনার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। গোয়েন্দা কমিউনিটি এই মহামারি শুরু কিভাবে হয়েছে, তা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ হওয়ার পর গত মে মাসে ভাইরাসটির উৎস অনুসন্ধানে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গোপনীয় এই রিপোর্ট মঙ্গলবারই বাইডেনকে ব্রিফ করা হয়। পরে দুই পৃষ্ঠার যে সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়, সেখানে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স কাউন্সিল এবং গোয়েন্দা কমিউনিটির আরও চারটি সংস্থাটির মতে আক্রান্ত কোনও প্রাণির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তবে এই তত্ত্বের ব্যাপারে তারা নিজেরাও ‘খুব আত্মবিশ্বাসী’ ছিলেন না। এই বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের কর্মকর্তারা আগে থেকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে কিছু জানতো না।
কিন্তু গোয়েন্দা কমিউনিটির আরেকটি অংশ মনে করছে, ল্যাব থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। গোয়েন্দাদের এই অংশ তাদের এই ল্যাব তত্ত্বের ব্যাপারে ‘মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী’। তাদের ভাষায়, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রাণি হ্যান্ডলিং বা নমুনা সংগ্রহের সময় এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। এই বিশ্লেষকরা করোনার সহজাত ঝুঁকিপূর্ণ প্রকৃতির উপর জোরারোপ করে এমন তত্ত্বে পৌঁছেছেন।