বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » প্রিন্সিপ্যালিটি অব আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্স এর কাছে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পত্র পেশ
প্রিন্সিপ্যালিটি অব আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্স এর কাছে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পত্র পেশ
মাদ্রিদ, ১০ নভেম্বর ২০২১: ০৫ নভেম্বর ২০২১ রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি প্রিন্সিপ্যালিটি অব আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্স মান্যবর মনস. জোয়ান-এনরিক ভিভেজ আই সিসিলিয়া এর নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন। উল্লেখ্য করোনা অতিমারির কারণে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি অনুস্মরণপূর্বক রাজদরবারে এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
পরিচয়পত্র পেশের পর প্রিন্সিপ্যালিটি অব আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্স এবং বাংলাদেশের নবনিয্ক্তু রাষ্ট্রদূত এর মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কো প্রিন্স নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রদূত কো-প্রিন্সকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। রাষ্ট্রদূত আন্দোরাতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে কো-প্রিন্সের সমর্থন চান এবং আন্দোরান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা নিতে উৎসাহিত করার জন্যও তাঁকে অনুরোধ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশীদের জাতীয় জীবনে ২০২১ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন এ বছর বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উদ্যাপন করছে। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অর্জিত সাফল্য বিশেষভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তর করতে রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান ২১০০ ঘোষণা করেছেন সেসব বিষয়ে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন আন্দোরা এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অনেক ক্ষেত্রে একমত পোষণ করে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবেলা করতে কপ-২৬ এ মাননীয় প্রধানন্ত্রীর দেওয়া চারটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও স্পস্ট করে উল্লেখ করেন ২০০৯ সালে “বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড” প্রতিষ্ঠা করা, “মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা” হাতে নেওয়া, দশটি কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা বাতিল করা, যেখানে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ জড়িত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ শক্তি নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎস থেকে নেওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রনয়ন করা। আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্স বাংলাদেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানান। তিনি কো¬-প্রিন্সকে অনুরোধ করেন রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার দেশের প্রচারনা বাড়াতে, আন্তজাতিক সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করার জন্য এবং মিয়ানমারের উপর প্রভাব বিস্তারকারী দেশগুলোর উপর চাপ বাড়াতে যাতে মিয়ানমার বাধ্য হয় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ।
প্রিন্সিপ্যালিটি অব আন্দোরা এর এপিসকোপাল কো-প্রিন্স রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়সমূহ গুরুত্ব সহকারে শ্রবণ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তাঁর দায়িত্ব পালনকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একান্ত এ বৈঠকে আন্দোরার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।