শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ওয়ার্নারের ব্যাটিংয়ে সেমির আশা বেঁচে থাকলো অস্ট্রেলিয়ার
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ওয়ার্নারের ব্যাটিংয়ে সেমির আশা বেঁচে থাকলো অস্ট্রেলিয়ার
৩০৬ বার পঠিত
শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ওয়ার্নারের ব্যাটিংয়ে সেমির আশা বেঁচে থাকলো অস্ট্রেলিয়ার

---

ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য ৮৯ রানের সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে আসরের সেমিফাইনালে খেলার আশা এখনো বেঁচে আছে অসিদের। পক্ষান্তরে বিদায় নিতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। রাতে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফলাফলের উপর নির্ভর করছে অসিদের সেমি ভাগ্য।
এই জয়ে ৫ খেলায় ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-১এ টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়া। ৪ খেলায় ইংল্যান্ড ৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৬। এ ম্যাচ হারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ ম্যাচ খেলে ১ জয় ও ৪ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করলো।
আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে অস্ট্র্রেলিয়া। ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। আগের ৪ ম্যাচে ৩০ রান করা অফ-ফর্ম গেইল, ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে দু’টি ছক্কা মারেন। কিন্তু ১৫ রানে পেসার প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে থামতে হয় তাকে।
গেইলের আউটের পর চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ ওভারে দুই উইকেট হারায় তারা। নিকোলাস পুরান ৪ ও রোস্টন চেজ খালি হাতে ফিরেন। এতে ৩৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর বড় জুটির চেষ্টা করেছিলেন ওপেনার এভিন লুইস ও শিমরোন হেটমায়ার। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন তারা। ২৬ বলে ২৯ রান করা লুইসকে আউট করে ব্রেক-থ্রু এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার এডাম জাম্পা। ৫টি চার মারেন লুইস।
দলের স্কোর শতরানে পৌঁছানোর আগে হেটমায়ারকেও হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২টি চারে ২৮ বলে ২৭ রান করেন হেটমায়ার।
হেটমায়ারের জায়গায় ক্রিজে আসেন আজই শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ডোয়াইন ব্রাভো। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডের সাথে ৩৫ রানের জুটি গড়ে ফিরেন ব্রাভো। হ্যাজেলউডের বলে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ১০ রান করেন ব্রাভো।
ইনিংসের শেষদিকে দ্রুত রান তুলেছিলেন পোলার্ড। তারপরও দলের স্কোর দেড়শতে নিতে পারেননি তিনি। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যখন আউট হন পোলার্ড, তখন দলের স্কোর ১৪৩। তবে ঐ ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন আন্দ্রে রাসেল। ৭ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রান করেন রাসেল। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে ৪৪ রান করেন পোলার্ড। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজেলউড ৪ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৫৮ রানের টার্গেটে চতুর্থ ওভারেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যক্তিগত ৯ রান করে ক্যারিবিয় স্পিনার আকিল হোসেনের বলে আউট হন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
অধিনায়ককে হারানোর পর দলের রানের পালে হাওয়া দেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার-প্লেতে দলকে ৫৩ রান এনে দেন ওয়ার্নার। এরমধ্যে ২২ বলে ৪০ রানই ছিলো ওয়ার্নারের। হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে ২৯ বল খেলেন । এবারের আসরে দ্বিতীয় ও ৮৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নারের হাফ-সেঞ্চুরির পর মারমুখী হয়ে উঠেন তিন নম্বরে নামা মিচেল মার্শ। হোসাইনের করা ১০ম ওভারে চার বল থেকে ১৫ রান নেয়া মার্শ ১৪তম ওভারে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান। এজন্য ২৮ বল খেলেছেন মার্শ। এবারের আসরে প্রথম হলেও ৩৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি করেন মার্শ।
ওয়ার্নার-মার্শের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। শেষ ৬ ওভারে ২৫ রান দরকার পড়ে অসিদের। এরপর ১৫তম ওভারে ১৭ ও ১৬তম ওভারে ৭ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
তবে ১৬তম ওভারের শেষ বলে অকেশনাল বোলার গেইলের বলে আউট হন মার্শ। ওয়ার্নারের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ বলে ১২৪ রানের ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েন মার্শ। ৩২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি।
তবে ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওয়ার্নার। ৫৬ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৮৯ রান করে ম্যাচ সেরা হন ওয়ার্নার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোসাইন ও গেইল ১টি করে নেন। ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়েও উইকেট পাননি শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ব্রাভো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৫৭/৭, ২০ ওভার (পোলার্ড ৪৪, লুইস ২৯, হ্যাজেলউড ৪/৩৯)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৬১/২, ১৬.২ ওভার (ওয়ার্নার ৮৯*, মার্শ ৫৩, গেইল ১/৭)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)।



আর্কাইভ