শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ৪০ বছরেও ভোগান্তি কমেনি ৮০ হাজার মানুষের
৪০ বছরেও ভোগান্তি কমেনি ৮০ হাজার মানুষের
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘ ৪০ বছরেও ঘোচেনি একটি সেতুর জন্য প্রতীক্ষার প্রহর। উপজেলা সদর থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কাচালং নদী। অথচ এই তিন ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়।
উপজেলা সদরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের স্বার্থে নদীটির ওপর একটি সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এলজিইডি।
বগাচতর, ভাসান্যাদাম ও গুলশাখালী-রাঙামাটির লংগদু উপজেলার অভাগা এই তিন ইউনিয়ন। কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর কাচালং নদীর মাধ্যমে ভাগ হয়ে পড়া এই তিন ইউনিয়নের মানুষ একটি সেতুর অভাবে যুগের পর যুগ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। নৌকায় করে জরুরি রোগী কিংবা কৃষিপণ্য নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে যায়।
জেলার মধ্যে লংগদু উপজেলার এই তিন ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়। সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় কৃষিপণ্য পরিবহনের পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসা, সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ প্রশাসনিক কাজে সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। অথচ একটি সেতু বদলে দিতে পারে এই এলাকার আর্থসামাজিক চিত্র।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু জানান, কাচালং নদীতে সেতু হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে।
গুরত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্থাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন এলজিইডির প্রকৌশলী ড. মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার।
লংগদু উপজেলার এই তিনটি ইউনিয়নে ৮০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস।