চিন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চরম সহিংসতা, জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে চিন রাজ্যে চলমান সহিংসতা বন্ধে শিগগিরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে পাঁচ শতাধিক নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী।

জান্তা সরকারের আগ্রাসন প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ৫২১টি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি এ আহ্বান জানানো হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে চিন রাজ্যে বেসামরিক মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতা বন্ধে এবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ চেয়েছে নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী।

স্থানীয় গণমাধ্যম, প্রত্যক্ষদর্শী ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন রাজ্যে ভারী অস্ত্রসহ সেনা জড়ো করছে মিয়ানমার সরকার। সেখানে বিদ্রোহীদের ওপর হামলার জন্যই সেনা জড়ো করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এদিকে, ভারতীয় সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়ার আগেই জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছে নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো। ইতোমধ্যে ৫২১টি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

এতে বলা হয়েছে, চিন রাজ্যে মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। অঞ্চলটিতে সহিংসতা থামানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকের প্রয়োজন।

এ অবস্থায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি অংসান সুচি-কে সরিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।

সেসময় গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির শীর্ষ নেতাদের। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম রূপ নেয়। শুরু হয় জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ।