শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ধর্ম | শিরোনাম » প্রিয় নবীর বেঁচে থাকার তেষট্টি বছরের কষ্টের দিনগুলো
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ধর্ম | শিরোনাম » প্রিয় নবীর বেঁচে থাকার তেষট্টি বছরের কষ্টের দিনগুলো
৫৮৯ বার পঠিত
শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রিয় নবীর বেঁচে থাকার তেষট্টি বছরের কষ্টের দিনগুলো

---

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম ও প্রিয়তম সৃষ্টি। সমস্ত মানবজাতির পয়গম্বর তিনি। সব নবীদেরও নবী তিনি। নবী ওলি গাউস কুতুব আবদাল সাহাবি তাবেয়ী সবার সরদার তিনি। মানব ও জিন সবার পথপ্রদর্শক। সর্বজনীন ও সর্বকালীন পয়গম্বর। প্রতিদিন প্রতিক্ষণ ও প্রতি মুহূর্তের পয়গম্বর তিনি। আল্লাহর হাবীব তিনি। তারপরও আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাকে সম্বোধন করে বলেন, ‘হে রাসূল, আপনি বলুন, আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার কাছে ওহি করা হয়..। (সুরা কাহাফ)

নবীজী (সা.) বেঁচে ছিলেন মাত্র তেষট্টি বছর। কিন্তু এই তেষট্টি বছরের জীবন ছিল অন্য রকম বৈচিত্রে পূর্ণ। সাধারণ মানুষের মতোই তার জীবনে ছিল আনন্দ ও বেদনা। ছিল প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি। তার জীবনেতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। আমরা এখানে তুলে ধরবো তার কষ্টের দিনগুলোর কথা।

জন্মের আগেই তার হারানোর দিন শুরু হয়। মা আমেনার গর্ভে থাকাকালেই মহানবী (সা.) তার পিতাকে হারান। নবীজীর মায়ের বয়স তখন মাত্র চৌদ্দ বছর। তের বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল আব্দুল্লাহর সঙ্গে। চৌদ্দ বছর বয়সে নবীজীকে প্রসব করেন মক্কার এই মহিয়সী মরুবালিকা। এর মাত্র ছয় বছর পর..। বিশ বছর বয়সে আমেনাও ইন্তিকাল করেন এতিম মুহাম্মাদকে অনিশ্চিত পৃথিবীর কোলে রেখে। ছয় বছর পেরিয়ে সাত বছরে পা দিয়েছিলেন মুহাম্মাদ (সা.)। আমেনা গিয়েছিলেন স্বামী আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করতে। পিতৃহারা অবোধ বালক মুহাম্মাদকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন সাথে। সেখানে সেই ‘আবওয়া’ নামক স্থানেই মৃত্যুবরণ করেন নবীজীর আম্মা আমেনা বিনতু ওয়াহাব। রাসুল (সা.) সেখান থেকে ফিরে আসেন দাসী সুওয়াইবার হাত ধরে। কল্পনা করুন তো, সেই অসহায় এতিম দুখি বালকের কথা, মক্কা থেকে মায়ের হাত ধরে বের হন, বাবার কবর দেখবেন বলে। ফেরার সময় পিতৃহারা বালক পূর্ণ এতিম হয়ে নিজের মমতাময়ী মায়ের সমাধি সম্পন্ন করে ফিরে আসেন।

এর দু’বছর পর দাদা আব্দুল মুত্তালিব মারা যান। হারানোর এ অভিজ্ঞতা জীবনের শেষ পর্যন্ত চলমান ছিল। বাবা, মা, দাদা, চাচা, স্ত্রী, কন্যা, পুত্র, দৌহিত্র, দৌহিত্রি, দুধভাই সব ধরনের বিয়োগ ব্যাথার অভিজ্ঞতাই অর্জিত হয়েছে রাসুল (সা.)-এর। তার ইন্তিকালের সময় এক কন্যা হযরত ফাতিমা ছাড়া অন্য কোনো ছেলে মেয়ে বেঁচে ছিলেন না। নবীজীর ইন্তিকালের ছয় মাস পর হযরত ফাতেমাও (রা.) মারা যান।

এই সব বিয়োগ ব্যথার মাঝে দুএকটির কথা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রথমটি নবুওয়াতের দশম বছর। এবছর কাছাকাছি সময়েই চাচা আবু তালিব ও প্রিয়তমা স্ত্রী হযরত খাদিজা ইন্তিকাল করেন। এই বছরটিকে ইতিহাসে ‘আ’মুল হুজন’ নামকরণ করা হয়। এর অর্থ দুঃখের বছর। কতটা বিষাদময় ছিল তা এই নামকরণ থেকেই বোঝা যায়। এর আগের সব বিয়োগ ব্যথা ছিল শৈশবে। বাবা মা ও দাদাকে হারানোর সেই দুঃখময় স্মৃতি নবীজীকে অবশ্যই পীড়া দিত। কিন্তু দরদী চাচার স্নেহে তিনি সব ভুলে থাকার চেষ্টা করতেন। খাদিজা ছিলেন সার্বক্ষণিক সহযোগী। সত্যিকার অর্থেই সহধর্মীনী ও জীবনসঙ্গিনী। খাদিজাকে কতটা ভালোবাসতেন তার অনেক গল্প আছে সিরাত গ্রন্থসমূহে। এখানে কেবল একটি ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করবো। বদর যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর জামাত আবুল আসও বন্দি হন। বন্দিদের স্বজনরা সবাই বন্দিদের ছোটাতে মুক্তিপণ পাঠায়। রাসুল (সা.) যখন মুক্তিপণগুলো দেখছেন তখন তার হাতে পড়লো জয়নবের পাঠানো একটি গলার হার। স্বর্ণের একটি জীর্ণ মালা। এটি নবীজী খাদিজাকে দিয়েছিলেন। খাদিজার মৃত্যুর পর হারটি জয়নবের কাছে ছিল। রাসুল (সা.) হারটি হাতে নিয়ে কাঁদতে থাকেন। তার মনে পড়ে যায় প্রিয়তমা স্ত্রীর কথা। সাহাবাদের বলেন, তোমরা যদি চাও তাহলে আমার মেয়ের মুক্তিপণ তাকে ফেরৎ দিয়ে মুক্তিপণ গ্রহণ ছাড়াই আমার জামাতাকে ছেড়ে দিতে পারো। সব সাহাবি সমস্বরে বলেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল…

আরেক দুঃখময় ঘটনা ছিল তার এক নাতনির মৃত্যুর ঘটনা। জয়নবের কন্যার মৃত্যুতে রাসুল (সা.) খুব কেঁদেছেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) রুগ্ন দৌহিত্রির মুমূর্ষ অবস্থার কথা শুনে গেলেন দেখতে। রাসুলের কোলেই তার মৃত্যু হলো। রাসুল (সা.) অঝোরে কাঁদলেন। উম্মে আইমান চিৎকার করে বিলাপ করতে লাগলো। রাসুল (সা.) তাকে নিষেধ করলেন। উম্মু আইমান বললেন, আমাকে নিষেধ করেন, আর আপনি নিজে কাঁদেন? রাসুল (সা.) বললেন, এটা কান্না নয়, এটা রহমত, মায়া। এই মমত্বের কারণে মুমিন বান্দার চোখ থেকে নিঃশব্দ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে…

এছাড়া হযরত হামযা ওহুদ যুদ্ধে শহীদ হবার পর খুব কষ্ট পান প্রিয় নবীজী। নিজেও রক্তাক্ত হন ওহুদে। দাঁত মুবারক ভেঙ্গে যায়, আঘাত পান মাথায়, মুখে, থেতলে যায় ঠোঁট। যাদের দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ চিন্তায় কাতর সেই উম্মত তাকে আঘাতে আঘাতে জর্জর করে। চাচাত ভাই হযরত জাফর তাইয়ার মুতার যুদ্ধে শহিদ হবার পরও ভীষণ দুঃখ ভারাক্রান্ত হন। নবীজীর আযাদকৃত গোলাম হযরত যায়েদও (রা.) সেই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। ঘনিষ্ঠ সত্তর জন সাহাবিকে বেদুইন কাফেররা বিরে মাউনা কুপের কাছে হত্যা করে। রাসুল (সা.) একমাস যাবৎ তাদের জন্য দুআ করেছেন।

কষ্টের যত রং আছে সবই ছিল রাসুল (সা).-এর জীবনে। স্বজন হারানোর ব্যথা ছাড়াও সব ধরনের কষ্টই ভুগতে হয়েছে রাসুল (সা.) কে। তিন বছর খাবারের কষ্ট করতে হয়েছে। মক্কার এক গিরিখাতে তিন বছর বন্দি জীবন কাটান। সাথে বনি হাশেমের নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও ছিল। অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়েছে সেই দিনগুলোয়। গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করতে হয়েছে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে থাকা তার বংশের লোকদের। মক্কার কাফেররা সবাই একমত হয়ে এমনভাবে সামাজিক বয়কট করেছিল রাসুল (সা.) ও বনু হাশেমকে। তারপর বন্দি জীবনের অবসান হয়, কিন্তু কষ্টের দিন শেষ হয় না। রাসুল (সা.) তায়েফে যান। সেখানে নবীজীর শরীরে পাথরের আঘাত করা হয়। রক্তে ভেসে যায় রাসুল (সা.)-এর দেহ মুবারক। একথা সত্যি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, বিশ্বনবী (সা.) আমাদের সবার প্রাণের নবী, রহমতের নবী।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনী মাঠে এ কোন খেলা

এমন দয়া মায়া ও রহমতে গড়া পবিত্র ও অনন্য দেহ মুবারককে তায়েফবাসী পাথর মেরে রক্তাক্ত করেছে। রক্তে পুরো শরীর ভিজে জুবুথুবু হয়ে গিয়েছিল, জুতা আটকে গিয়েছিল মাথা ও গা থেকে গড়িয়ে পড়া তাজা লাল রক্তে। পুরো পৃথিবীই বুঝি সেদিন রক্তবর্ণ ধারণ করেছিল এমন নিষ্ঠুর দৃশ্যে। অবশেষে তায়েফের অদূরে একটি আঙুর বাগানে আশ্রয় নেন রাসুল (সা.)। তায়েফ থেকে ফিরে মক্কায় প্রবেশের সময় কেউ রাসুল (সা.)কে নিরাপত্তা দিতে রাজি হয় না। দোজাহানের বাদশাহকে মক্কায় ঢুকতে দিতে চায় না কাফেররা। মক্কার নবীকে মক্কায় ঢুকতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় আবু জাহল, আবু লাহাবরা।

অবশেষে মুতইম ইবনু আদি নামক জনৈক কাফের সরদার নবীজীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কাবা ঘরের দিক ফিরে নামাজ পড়তেও বাধা দিত কাফেররা। রাসুল (সা.) একবার নামাজের সেজদায় ছিলেন..। আবু জাহল ও তার সহযোগীরা উটের নাড়িভুড়ি এনে নবীজীর উপর ফেলে দিল। রাসুল (সা.) সেই অবস্থায় সেজদায় পড়ে রইলেন। হযরত ফাতেমা এসে সরিয়ে দিলেন অপবিত্র নাড়িভুড়িগুলো। রাসুল (সা.)কে পাগল, কবি, ছিটগ্রস্ত, মিথ্যুক ইত্যাদি গাল অব্যাহত ছিল শেষ সময় পর্যন্ত। নাম বিকৃত করে মুহাম্মাদ না বলে বলতো মুযামমাম। মুহাম্মাদ অর্থ সর্বাধিক প্রশংসিত, কাফেররা বলতো মুযামমাম সর্বাধিক নিন্দিত। রাসুল (সা.) অবশ্য বলতেন ওরা মুযামমামকে গালি দিচ্ছে, আমাকে নয়, আমি তো মুহাম্মাদ, সর্বাধিক প্রশংসিত। কিন্তু কষ্ট কি পেতেন না উম্মতের এমন অবমাননায়? এতো অধিক লাঞ্ছনায়? কষ্ট পেতেন, কিন্তু সব সময় দুহাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতেন, হে আল্লাহ, আমার কওমকে তুমি মাফ করে দাও, এরা আমাকে চিনতে পারেনি, এরা কিছু জানে না..।

মক্কার মুশরিকদের নির্যাতন অসহনীয় হয়ে উঠছিল। এদিকে কাফেররা নবীজীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করতে লাগলো। আল্লাহর হুকুমে অবশেষে ভিটে মাটি ছেড়ে হিজরত করতে হলো দূর ইয়াসরিবে। নিজের দেশ ছেড়ে যাবার মতো কষ্ট কিছুতে নেই। রাসুল (সা.) মক্কার অদূরে রাবেগ নামক স্থানে দাঁড়িয়ে কাবার দিকে তাকিয়ে অশ্রুসজল নয়নে বলতে লাগলেন, হে মক্কা, তুমি আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা, তোমার অধিবাসীরা যদি আমাকে এখান থেকে যেতে বাধ্য না করতো তাহলে আমি কখনওই তোমাকে ছেড়ে যেতাম না…।

মক্কার পর মদীনা মুনাওয়ারায় গিয়েও শেষ হলো না রাসুল (সা.)-এর কষ্ট। অনাহারে অর্ধাহারে কাটতো তার জীবন। ইতিহাস বলে দুই/তিন মাস রাসুল (সা.)-এর চুলায় আগুন জ্বলতো না। অর্থাভাব খাদ্যাভাব যেমন, পাশাপাশি মুনাফিকদের যন্ত্রণা। মদীনার ভেতর আরও ছিল ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। বাইরে থেকে আরবের মুশরিকদের অতর্কিত হামলা। এসবই চলতো। আব্দুল্লাহ ইবন উবাই ছিল সবচেয়ে বড় মুনাফিক। সে নানাভাবেই কষ্ট দিত রাসুল (সা.)কে। এর ভেতর সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার ছিল, সে একবার নবীজীর প্রিয়তম স্ত্রী হযরত আয়শা সম্পর্কে পরকিয়ার অপবাদ রটায়। সে গল্প অনেক দীর্ঘ। রাসুল (সা.) এই সব কিছুই সয়ে যান।

এক ইহুদি বৃদ্ধা রাসুল (সা.)কে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। খায়বার যুদ্ধের অব্যবহিত পর রাসুল ও তার সাহাবিদের দাওয়াত করে ইহুদি মহিলা। বকরির মাংসে বিষ মিশিয়ে দেয়। রাসুল (সা.) খাবার মুখে দিয়েই বুঝতে পারেন। মুখ থেকে খাবার ফেলে দেন। কিন্তু একটা অংশ মুখে লেগেছিল। সেই বিষের কষ্ট জীবনের শেষ সময়েও অনুভব করেন। ইহুদিরা যাদু টোনা ও বান মেরেও রাসুল (সা.)কে কষ্ট দেয়। প্রায় ছয় মাস রাসুল (সা.) যাদুর কারণে কষ্ট ভোগ করেন। এসময় সুরা ফালাক ও সুরা নাস অবতীর্ণ হয়। রাসুল (সা.) সেই কষ্ট থেকে মুক্ত হন। চৌদ্দ দিন মৃত্যুর পূর্বে চরম অসুখের কষ্ট ভোগ করেন। আর তার মৃত্যুর সেই যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দেয় তার উম্মতের প্রতি প্রেম। একদিকে তিনি উম্মতকে ছেড়ে যাচ্ছেন সেই কষ্ট। অন্যদিকে কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত উম্মত তাদের নবীকে হারিয়ে বিরহ বেদনায় কাতর। কষ্টের এক মোহনা বলা চলে এটিকে। নবী ও উম্মতের কষ্ট এক হয়ে গেছে এই সময়ে।

পরকালে গিয়েও রাসুল (সা.)-এর কষ্ট শেষ হবে না। সবাই যখন জান্নাতে সুখ করবে, তখনও রাসুল উম্মতের শেষ সদস্যটিকে জাহান্নাম থেকে বের করার আগ পর্যন্ত অস্থির হয়ে থাকবেন। নবীজীর শাফায়াতেই আল্লাহ তায়ালা একে একে তার উম্মতকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবেন। তার মানে জান্নাতে যাবার পরও রাসুল (সা). উম্মতের ব্যথায় কাতর হবেন।

হযরত আনাসের উক্তি দিয়ে শেষ করবো। হযরত আনাস নবীজীর ছোট্ট সেবক ছিলেন। দশ বছর তিনি নবীজীর সেবা করেছেন। নবীজী যখন মদীনায় আসেন তখন তার বয়স দশ বছর। নবীজীর মৃত্যুর সময় আনাসের বয়স কুড়ি বছর। আনাস বলেন, যেদিন প্রিয় নবী মদীনায় আসেন সেদিন মদীনার সব কিছু আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। আর যেদিন রাসুল (সা.) ইন্তিকাল করেন পুরো মদীনা অন্ধকার হয়ে গেল। সত্যি, সেই মুহূর্ত কল্পনা করলে আমাদের অন্তরেও কষ্টের অজস্র কণা জমে ওঠে। সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে। বিরহ ব্যথা অনুভব করে প্রতিটি উম্মত। রাসুল ( সা.) বলেন, ‘একটা সময় আসবে যখন আমার উম্মতের কেউ কেউ আমাকে এক পলক দেখতে এতটাই উদগ্রীব হয়ে উঠবে যে, সমস্ত পৃথিবীর বিনিময়ে হলেও তারা আমাকে দেখতে চাইবে..।’ আল্লাহ আমাদেরকে প্রিয় নবীজীর প্রেম নসীব করুন। রোজ হাশরে তার শাফায়াত নসীব করুন। আসুন সবাই প্রিয় নবীর নামের দরুদ পড়ি। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।



এ পাতার আরও খবর

দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ
ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত
ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ
মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক
বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে

আর্কাইভ