বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » বসন্তের কোকিল দ্বারা দলের ত্যাগীরা নিগৃহীত - আনোয়ার
বসন্তের কোকিল দ্বারা দলের ত্যাগীরা নিগৃহীত - আনোয়ার
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কাজ করেছেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর এই জাতিকে নেতৃত্বশূণ্য করতে জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিল। এসব হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করে জেল খাটতেও হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ নেতা বলে কেউ পরিচয় দিতে পারতো না। স্বৈরাচারী জিয়াউর রহমানের দোসররা সেই সময় নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতন চালাতো। আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায়। আজকে আমাদের সুদিন। আজকে আমরা সবাই আওয়ামী লীগ করি। সুদিন আসলে বসন্তের কোকিল দিয়ে দল ভরে যায় আর ত্যাগী কর্মীরা তাদের দ্বারাই নিগৃহীত হয়।’
বুধবার (৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার স্মরণে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। এই সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলামেরও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার আগে সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা দলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চায় তাদের সব বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাই। বিভ্রান্ত হয়ে টাকার পেছনে শক্তির পেছনে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে, তাদের বলি, এইটাই কিন্তু শেষ নয়। মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই তো দল। সব দম্ভ, অনাচার বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করুন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামাতের কর্মী দিয়ে দল ভারী করার প্রয়োজন নাই। অথচ বিএনপির লোকজন দলে ভিড়িয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। এক সময় বিএনপির সন্ত্রাসী শাহেন শাহ যার নামে অনেক মামলা আছে এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামিও সে। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় পার্টির এমপির উপস্থিতিতে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে। এর চেয়ে নিন্দাজনক ঘটনা আর কী হতে পারে! কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী থাকা অবস্থায় বিএনপির নেতাকে আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে এই অবস্থা বিরাজমান। অন্য দলের লোক টেনে নিজের পেশীশক্তি প্রদর্শন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
পঁচাত্তরের সেই অবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি। জানি না আল্লাহ আমাদের কোন পথে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর মতো ঘটনা আর দেখতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভালো কাজ করলে নৌকার ভোট ব্যাংক বাড়ে। আমি পাঁচটা বছর সেই কাজই করেছি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। রাস্তাঘাট, মাদরাসা, মসজিদ ভবন নির্মাণে কাজ করেছি। বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুযোগ দিয়েছেন বলেই এইটা করতে পেরেছি। আমার মৃত্যুর পর মানুষ যেন বলে, আনোয়ার হোসেন ভালো লোক ছিল, আমি এটাই চাই।’
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হায়দার আলী পুতুল, নূর ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, সহ দফতর সম্পাদক সানোয়ার তালুকদার, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী, কার্যকরী সদস্য সোহরাব হোসেন, শাহ্ জামান খোকন, শাহাদাত হোসেন সুমন, সাবেক প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান মনির, রমজান আলী, আছিয়া আক্তার সুমি, জালাল উদ্দিন জালু, যুব মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার সন্ধ্যা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আলী হাসান সজীব, মোশারফ হোসেন জনি প্রমুখ।