শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি মোদির
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি মোদির
৪০৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি মোদির

---

ভারত তার নেট জিরো কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা ২০৭০ সাল ধার্য করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল সোমবার গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

নেট জিরো নিঃসরণের অর্থ হচ্ছে কার্বন নিঃসরণ আর পরিবেশ থেকে তা অপসারণের হার সমান। তার অর্থ আবহমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন আর জমবে না। এর আগে চীন ২০৬০ সালের মধ্যে নেট জিরোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঘোষিত লক্ষ্য ২০৫০ সাল।

চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ এর পর ভারত বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী।

নরেন্দ্র মোদি ২০৭০ সালের মধ্যে নেট জিরোসহ পাঁচটি অঙ্গীকার করেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য খাত থেকে জ্বালানির ৫০ শতাংশ উৎপাদন করা এবং একই সময়ের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ১০০ কোটি টন কমিয়ে আনা।

এর আগে তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিপদ সম্পর্কে বিশ্বকে সতর্ক করে দেন সম্মেলনের আয়োজক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কপ-২৬ শীর্ষক জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না, শুরুতেই সেই বার্তা দিলেন আয়োজক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় সোমবার জলবায়ু সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন বিশ্বনেতারা। ‘১২টা বাজতে আর মাত্র এক মিনিট বাকি। আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই’, এই নাটকীয় কথা দিয়ে সম্মেলন শুরু করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গ্লাসগোর কপ-২৬-এ আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কয়লা, গাড়ি, অর্থ আর গাছ নিয়ে বাস্তবমুখী কিছু করতে না পারি, তবে বিশ্বের ক্রোধ ও ধৈর্যচ্যুতি কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না।’

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ কতটা জরুরি, তা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তালগোল পাকিয়ে ফেললে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কাজে লাগাতে না পারলে অনাগত শিশুরা ভবিষ্যতে আমাদের ক্ষমা করবে না। তারা জানবে যে গ্লাসগো ছিল ঐতিহাসিক বাঁক বদলের মুহূর্ত, যখন ইতিহাস বাঁক বদল করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে তিক্ততা ও তীব্র অসন্তোষ আজকের জলবায়ু আন্দোলনকর্মীদের গ্রাস করেছে, সেই একই অনুভূতি নিয়ে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের মূল্যায়ন করবে এবং তাদের মূল্যায়ন ঠিকই হবে।’



আর্কাইভ