সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে - রাষ্ট্রপতি
সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে - রাষ্ট্রপতি
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২১’ উদ্যাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য স্বরূপ এবারের জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দক্ষ যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
বঙ্গভবন ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২১’-এর উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আজহারুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে গ্রাম ও শহর নির্বিশেষে বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, ঋণ সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে তাদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করছে। ফলশ্রুতিতে তারা কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ - যা সংখ্যায় ৫ কোটিরও বেশি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ এর সদ্ব্যবহার করা।
রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কোনো কোনো সফল আত্মকর্মী মাসিক লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন, এটি নিশ্চয়ই একটি আনন্দের খবর। এটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে অবশ্যই উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
দেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে, এমনকি কোভিড-১৯ এর প্রাক্কালে যুবসমাজের সাহসিকতাপূর্ণ কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, আগামীদিনে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সে বিষয়ে আমার গভীর আস্থা রয়েছে।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি যুবসমাজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কাজে আত্মনিয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বর্তমান সরকার যুববান্ধব সরকার। যুবদের উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সময়োপযোগী জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় যুবনীতি-২০১৭ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান ও ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স প্রণীত হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় যুব প্রশিক্ষণ নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স হিসেবে সাভার, ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে যুব প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। যুবদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দূরে রাখতে ও সুস্থ বিনোদনের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
জাতীয় যুব দিবস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২৭ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।