বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » ‘ডেঙ্গু নিধনে ছাদে বাগান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে’
‘ডেঙ্গু নিধনে ছাদে বাগান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে’
ছাদ বাগান অথবা বাসা-বাড়ির ফুলের টব যেন এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিণত না হয় সে জন্য নগরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা জানান। মন্ত্রী এসময় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর একটু আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যার কারণে যেখানে সেখানে পানি জমছে। আবার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় নিয়মিত পরিষ্কার করতে না পারায় এসব স্থাপনায় মশার প্রজনন হচ্ছে। ছাদ বাগান বা ফুলের টবে নিয়মিত পানি অপসারণ করতে না পারলে মশার কীটনাশক অথবা কেরোসিনের তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, এডিস মশা নিধনে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে যে কোনো কোম্পানি কার্যকর কীটনাশক আমদানি করতে পারছে। আগে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান কীটনাশক আমদানি করতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই ধারা ভেঙ্গে দিয়ে এখন অনেক কোম্পানিকে কীটনাশক আমদানি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এসব কীটনাশক সহজলভ্য করার জন্য বাজারে ওপেন করে দেয়া হচ্ছে।
এলাকা বিশেষে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অথবা ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়া মাত্রই মন্ত্রণালয় অথবা সিটি কর্পোরেশনকে জরুরি ভিত্তিতে জানানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যাতে খবর পাওয়া মাত্রই সেই বাড়িসহ আশে-পাশে বিশেষ অভিযান চালানো সম্ভব হয়।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের অধিক্ষেত্রে মশার বংশ বিস্তাররোধে কার্যকর গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে বসে না থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে বলেন মন্ত্রী। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মশা নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংরক্ষিত এলাকায় মশার লার্ভা পাওয়া গেলে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।