রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | বিনোদন | শিরোনাম » ছেলেকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিতে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি চঞ্চল
ছেলেকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিতে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি চঞ্চল
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। টেলিভিশন, মঞ্চ, চলচ্চিত্র কিংবা বিজ্ঞাপন- মিডিয়ায় সব মাধ্যমেই পদার্পণ তার। শহুরে বা গ্রামীণ চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন দর্শকের মাঝে। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখনির মাধ্যমে নিজের মনোভাব তুলে ধরেন তিনি।
রোববার (৩১ অক্টোবর) ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি নিজেই ড্রাইভ করছিলেন। কিন্তু রাস্তায় ছিল প্রচণ্ড জ্যাম। সে সময়ের তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। সেই পোস্টে কিছু বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেতা।
চঞ্চল চৌধুরীর লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমরা মানতে মানতে সব কিছুতেই অভ্যস্ত হয়ে যাই। যাকে বলে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া। হাজার বলাতেও যখন কোনো কাজ হয় না, তখন চুপ হয়ে যাওয়াটাও আমাদের অভ্যাসেরই একটা অংশ হয়ে গেছে।
গতকাল থেকে শুদ্ধ’র বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ট্রাফিক জ্যাম এখন ঢাকা শহরের এক এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঢাকা থাকবেন অথচ জ্যামের সাথে প্রেম হবে না, তা তো হয় না। জ্যাম হচ্ছে পুরনো প্রেমিকার মতো। আপনি চাইলেও সে আপনাকে ছাড়বে না (আমার বিষয়টা যদিও ভিন্ন )।
যাইহোক, গতকাল বাসা থেকে শুদ্ধ’র স্কুলে আসতে আধাঘণ্টা সময় লেগেছিল। আজ লাগলো পুরো দুই ঘণ্টা। আজ শুদ্ধ’র বাংলা পরীক্ষা। গত ৫০ বছর ধরে বাংলা পরীক্ষায় আমরা বাঙালি জাতি খুব বেশি ভালো রেজাল্ট করতে পারিনি। আসুন, আমরা বাংলায় ভালো করি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি।’
গতকালও (৩০ অক্টোবর) ছেলে শুদ্ধকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। ছেলের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন- ‘আজ আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু। জ্যাম থেকে মুক্ত থাকার জন্য বেশ আগেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। ফলাফল মন্দ নয়, দুই ঘণ্টা আগেই আমরা স্কুলে পৌঁছে গেছি। এখনও গাড়িতে বসে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরীক্ষাটা শুদ্ধ’র একার না, আমাদেরও। ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে। আমরা পরীক্ষার আগে ভোরবেলা উঠে পড়তাম। ভোরের পড়া নাকি মনে থাকে।’
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘মা ডেকে জাগিয়ে দিয়ে পাশে বসে থাকতেন। ঘুমে ঝুলে পড়তাম। মা আবার জাগাতেন। পরীক্ষাগুলো আসলেই শুধু সন্তানদের হয় না, বিশেষ করে মায়েদেরই হয়। মায়েরা জাগলেই সন্তান জাগে।’