শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪৯৪ বার পঠিত
শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

---

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন সমাজ বির্নিমাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সভ্যতা বিনির্মাণে বৌদ্ধ ধর্মের অসংখ্য নিদর্শন এখনও আমাদের কাছে দীপ্তমান। সৌমপুর বিহার, ময়নামতি বিহার, আদি কবিদের রচিত চর্যাপদ এ অঞ্চলে উন্নত বৌদ্ধ সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করে।

প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম মহানগর সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে জে এম সেন হলে রহমতগঞ্জে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান-২০২১ উদযাপন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আওতাধীন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর নব গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টিবৃন্দকে সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের ন্যায় বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গত বারো বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আমানত ৩ কোটি টাকা হতে ৭(সাত) কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ‘প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথিমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রকল্প’ ২য় পর্যায়ে ১২টি জেলার ৬২টি উপজেলায় ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২০,০০০ (বিশ হাজার) বৌদ্ধ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০০জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মহিলা ও পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনীতে একটি বৌদ্ধবিহার নির্মাণের লক্ষ্যে ৬০ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার একটি ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে।নেপাল সরকার বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে আশ্রম/প্যাভিলিয়ন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের অনুকূলে একটি প্লট বরাদ্দ প্রদান করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে কোন মূল্যে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সিনিয়র সহ- সভাপতি, জ্ঞাননন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বেগম আরমা দত্ত এম.পি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সুপ্ত ভূষণ বড়ূয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান বাবু অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সিনিয়র সহ-সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত, বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ভদন্ত বোধিমিত্র মহাথেরো, আশুলিয়া বোধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্র, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিদর্শনাচার্য আশিন জিনরক্ষিত মহাথের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট্রের নবগঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রাস্টি মিথুন রস্মি বড়ূয়া, ববিতা বড়ূয়া, রূপনা চাকমা, মং ক্য চিং চৌধুরী, রঞ্জন বড়ূয়া, জয় সেন তঞ্চঙ্গা, জ্যোতিষ সিংহ কে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সভায় বৌদ্ধ ভিক্ষুবৃন্দ, বৌদ্ধ ধর্মগুরুগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক অনুসারী ভক্তবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।



আর্কাইভ