শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » বন্যার আগাম পূর্বাভাস দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার - ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বন্যার আগাম পূর্বাভাস দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার - ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দরিদ্র জনগণের আয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে দ্রুত বন্যার আগাম পূর্বাভাস দেয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। বলেছেন, জাতীয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্যার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উওর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে যাতে আরো আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বন্যার ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করা যায়।
তিনি বলেন, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে বন্যার আগাম সতর্কতা ও ঝুঁকি হ্রাসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়াও, ইন্টিগ্রেটেড ওয়েব-মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ বন্যার তথ্য ও পরামর্শ স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত ‘স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার আগাম সতর্কবার্তা ও প্রচার ব্যবস্থার উন্নয়ন‘ শীর্ষক প্রকল্পের প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক।
প্রতিমন্ত্রী তার উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক সফরে আকস্মিক বন্যার অভিজ্ঞতা কথা উল্লেখ করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির দ্বারা বন্যার আগাম সতর্কীকরণ বার্তা পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন। সাধারণ জনগণের কাছে বন্যার সতর্কবার্তা প্রচারে সহজ ও বোধগম্য ভাষায় প্রচারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্প উত্তরাঞ্চলের ৩টি বন্যাপ্রবণ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুরের ১৯টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। এই ১৯টি উপজেলার যে সকল ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি বন্যার ঝুঁকিতে বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার যমুনা ও বাঙালি নদীর তীরবর্তী এলাকা এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল আধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ, IWFM, IFAD-সহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।