শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রংপুর | শিরোনাম » তারাগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
তারাগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সালমা আক্তার পুটি (৪৫) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল আটটায় এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) সিফাত-ই-রাব্বানী, রংপুর পিবিআই টিম ও সিআইডি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতের খাওয়া শেষে সালমা ও তার স্বামী আব্দুল্লাহ সহ বাড়ির উত্তর দিকের তাদের নিজ শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আব্দুল্লাহ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। কয়েক মিনিট পর ঘরে ফিরে তার স্ত্রী পুটিকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এসে দেখেন গলাকাটা অবস্থায় পুটির মৃতদেহ পড়ে আছে।
এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী মন্ডলপাড়া গ্রামে বসবাসরত পুটির ছোট ভাই ভুট্টু মিয়া বলেন, আমার বোন দুলাভাই আব্দুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। আব্দুল্লাহর প্রথম স্ত্রী মোছা. হোসনেআরা ওরফে (ওসরেআরা)’র সংসারে আশরাফুল ইসলাম ফকির (৩৫) নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে আমার বোনের সাথে তাদের গরু বিক্রির টাকা ও বসত ভিটার জমি নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। আমার সন্দেহ আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে ফকির মিলে আমার বোনকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমার ভাগিনা লাভলু (১৫) ও শাহীন (১৩) আমার বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমি সাথে সাথেই এখানে চলে আসি। আব্দুল্ল্যাহর উপর আমার সন্দেহ থাকায় আমি এখানে এসেই আব্দুল্লাহকে বেধে রাখি। পরে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা সকাল ৬টায় ঘটনাস্থলে আসি। লাশের সুরৎহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী আব্দুল্লাহকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।