বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » নতুন প্রজন্মকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে দেশের নতুন প্রজন্মকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য সকলকে প্রস্তÍুত হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। সে সময় বিষয়টি অনেকের কাছেই অসম্ভব মনে হয়েছিল। কিস্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন কল্পনা নয়, বাস্তব। কারণ, প্রযুক্তির ছোঁয়া সবক্ষেত্রেই লেগেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষেক্ষ ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঃ বাণিজ্য প্রসারের হাতিয়ার’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
টিপু মুনশি বলেন,‘দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হচ্ছে তৈরী পোশাক। প্রযুক্তির সুবাদে এ খাতে উৎপাদন খরচ এবং প্রশাসনিক খরচ কমেছে, একই সাথে বেড়েছে উৎপাদন । এখন বিশ^ব্যাপী তৈরী পোশাক সেক্টরে ম্যান মেড ফাইবার প্রায় ৭০ ভাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বিশ^বাজারে প্রতিযোগিতায় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।’
তিনি জানান, এখন বাংলাদেশ মাত্র ২৫ ভাগ ম্যান মেড ফাইবার ব্যবহার করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন,‘আমাদের পিছিয়ে থাকার উপায় নেই। পৃথিবী এখন প্রযুক্তি নির্ভর। পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের চিন্তা ও চেতনায় প্রযুক্তির ব্যবহার মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তির সুবাদে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হয়েছে, প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। অনলাইনে বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। পৃথিবী প্রবেশ করেছে নতুন যুগে।’ টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান যুগে ফোর আইআর ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্রসবর্ডার বাণিজ্যের খরচ কমিয়ে দিয়েছে। ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সকল কাজ সহজ হয়েছে এবং খরচ কমেছে। দেশে এখন আইসিটিতে প্রচুর দক্ষ জনবল সৃষ্টি হয়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এজন্য বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ফোর আইআর-এ সামিল হয়ে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসীন হতে হবে। এজন্য ফোর আইআর সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। তবেই বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক) ডব্লিউটিও সেল মো. হাফিজুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুনীর হাসান।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সলিউশন আর্কিটেক্ট, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস’র লীডার মোহাম্মদ মাহ্দী-উজ-জামান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, দি কম্পিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিক-ই-রাব্বানী, ডাটা সফট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান এবং আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের সভাপতি শাবকাত হায়দার।