মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » শিক্ষাকে জীবন ও সংস্কৃতিমুখী করা হচ্ছে - ডা. দীপু মনি
শিক্ষাকে জীবন ও সংস্কৃতিমুখী করা হচ্ছে - ডা. দীপু মনি
শিক্ষাকে জীবন ও সংস্কৃতিমুখী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-আইইউবি’র ২১তম ও ২২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণ দেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অনলাইনে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন, তবে আমাদের আরও অনেক কিছু অর্জন করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষাকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং জীবন ও সংস্কৃতিমুখী, সৃজনশীল এবং আনন্দময় করা।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইইউবি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন আইইউবিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ও অ্যাক্টিভিটিগুলো খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়ন বা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম, ই-লার্নিং, দূরশিক্ষণ ও অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে এই করোনাকালেও আইইউবিতে মান সম্মত শিক্ষা বাস্তবায়িত হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই বিজ্ঞানের সুফল আমরা পাচ্ছি।’
সমাবর্তন বক্তব্য দেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন তথ্য যুগে বসবাস করছি। দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিযোগিতার বাজারে গ্র্যাজুয়েটদের উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন ও চিন্তাশক্তি বাড়াতে হবে। তোমরা যদি ঝুঁকি নিতে না পারো, তাহলে উদ্যোক্তা হওয়ার দরকার নেই।’
জীবনে বড় হওয়ার জন্য আর্থিক শৃঙ্খলা মেনে চলতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘স্নাতকরা শুধুমাত্র ভালো যোগ্য পেশাদারই নয় বরং স্বাধীন চিন্তাবিদও হবেন, সর্বোপরি সমাজের জন্য আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করবেন।’
আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী, এডুকেশন সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট (ইএসটিসিডিটি)-এর চেয়ারম্যান নিলুফার জাফরুল্লাহ, উপাচার্য তানভীর হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— আইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মতিন চৌধুরী, উপাচার্য তানভীর হাসান ও আইইউবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
এবার সমাবর্তনে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান নির্বাচিত হয়েছেন এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের সুরাইয়া খান। তিনি চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল লাভ করেন এবং সনদপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট দুই হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২১তম সমাবর্তনের মোট এক হাজার ২৭৯ জন গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে ৮৯৯ জন স্নাতক ও ৩৮০ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী সনদ পেয়েছেন। আর ২২তম সমাবর্তনের ৮৬৪ গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে ৬৭০ জন স্নাতক ও ১৯৪ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী সনদ পেয়েছেন।