মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » চাঁদপুর ইলিশঘাটে জেলেরা হতাশ, আড়তদাররা খুশি
চাঁদপুর ইলিশঘাটে জেলেরা হতাশ, আড়তদাররা খুশি
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে নেমে হতাশ হয়ে ফিরছেন জেলেরা। আশানুরূপ ইলিশের দেখা না পাওয়ায় নৌকার জ্বালানি খরচ উঠছে না বলে দাবি করেন তারা। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে ঘাটে মাছ আসতে শুরু করেছে, তাতেই খুশি চাঁদপুর বড়স্টেশনের আড়তদাররা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছঘাটে ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি না থাকলেও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখর ছিল পুরো ঘাট। তবে আরও দু-এক দিন পর আমদানি বাড়লে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এ সময় ঘরে বসেই ছিলেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষে মুখে হাসি নিয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে তারা নদীতে নেমে পড়েন। তবে নদীতে গিয়ে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ জেলেরা।
অন্যদিকে আমদানি কম থাকায় তুলনামূলক মাছের দাম কিছুটা বেশি বলেই মনে করছেন আড়তদাররা।
সরেজমিনে চাঁদপুর মাছ ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য ২২ দিন পর চাঁদপুরের বৃহৎ ঘাট ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা সেই রূপ। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর চারদিক। যদিও ঘাটে ক্রেতার সংখ্যা ছিল সামান্য।
মেঘনা থেকে ফিরে আসা জেলে মনির ও আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, যে আশা করে নদীতে গিয়েছিলাম, সেই আশা পূরণ হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১২ জন লোক এক নৌকা নিয়ে নদীতে গিয়েছিলাম। যেখানে আমরা নদী থেকে ফিরে মাছ বিক্রি করেছি মাত্র ১২ হাজার টাকার। নদীতে না যদি এমনই থাকে তাহলে আমরা আরও ধারদেনায় পড়ে যাব।
তারা আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে যে হিসাবে মাছ পাওয়ার কথা ছিল, সেই হিসাবে মাছ একেবারেই পাইনি। অভিযানও শেষ মাছও শেষ।
ঘাটের আড়তদার বিপ্লব খান ও নবীর হোসেন বলেন, ২২ দিন পর আজ ঘাটে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে, এতে আমরা খুশি। তবে এ সময় আমরা যে আশা করেছিলাম, চাহিদা অনুযায়ী সে পরিমাণ ইলিশ ঘাটে আসেনি। আশা করছি দুই থেকে তিন দিন পর ঘাটে যখন ইলিশ আসা শুরু করবে, তখন আমদানি বাড়বে।
ইলিশের দাম বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদপুরের মাছঘাটে আজকের ইলিশের দাম ১ কেজি ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ৬০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন, ঘাটে আজ যে পরিমাণ ইলিশ আমদানি হয়েছে, তার সবই আমাদের চাঁদপুরের লোকাল ইলিশ। তবে আশা করেছিলাম আজ অন্তত দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ ঘাটে আমদানি হবে। সেখানে ৮০০ থেকে ১ হাজার মণের মতো ইলিশ এখন পর্যন্ত আমদানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ইলিশের অনেক চাহিদা আছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী ঘাটে মাছ আসেনি। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ যে পরিমাণ মাছ এসেছে, এতে খুশি আছি।