রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নাইম-মুশফিকের ফিফটিতে ১৭১ রানের পুঁজি টাইগারদের
নাইম-মুশফিকের ফিফটিতে ১৭১ রানের পুঁজি টাইগারদের
ভর দুপুরে আরব আমিরাতের কড়া রোদে যে একবার দাঁড়িয়েছে সেই বোঝে কতটা গরম। শারজায়ও ব্যতিক্রম ছিল না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গ্যালারিতে লাল সবুজের গর্জন আর ২২ গজের দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েল্ভের ম্যাচ বলে কথা। সবকিছু মিলিয়ে উত্তপ্ত শারজায় টাইগার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং মুগ্ধতা ছড়ানো ব্যাটিংয়ে আরও উত্তাপ ছড়িয়েছে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খালি হাতে ফেরা ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে ছুটেছে রানের ফোয়ারা। আর নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা মুশফিকুর রহিমের ব্যাট রূপ নিয়েছিল ক্ষুরধার তরবারিতে। দুজনের অর্ধশতকে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে বাংলাদেশ। অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম (৫৭) ও মাহমুদউল্লাহ (১০)।
নাঈম ওপেনিংয়ে নেমে ৫২ বলে ৬২ রান করেন। ৬টি দৃষ্টিনন্দন চারের মার ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে। লাহিরু কুমারার মাথার উপর দিয়ে চার মেরে পেয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের ২৫টি ম্যাচে এটি তার চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। এদিকে প্রায় দুই বছর পর মুশফিক হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। মাত্র ৩২ বলে মিড অনে সিঙ্গেল নিয়ে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। ১২ ম্যাচ পর মুশফিক খেলেছেন চল্লিশের বেশি রানের ইনিংস। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৩ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন, সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫৭ রান। ৫টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল ইনিংসে। তাকে আউটের রাস্তাই খুঁজে পায়নি শ্রীলঙ্কা।
এই ম্যাচেও লিটন দাস সেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১৬ বলে ২ চারের মারে ১৬ রান করা লিটন আউট হয়ে যান। তার আউটেই বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ৬ ওভার পর্যন্ত ৪ বোলার ব্যবহার করেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিল না শ্রীলঙ্কা। উইকেটের জন্য মরিয়া দ্বীপরাষ্ট্রটির ক্রিকেটাররা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি তখন। বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন লিটনের সঙ্গে। এরপর আম্পায়ারের হস্তখেপে থামে এটি। লাহিরু-লিটনের বাদানুবাদ শুরুতেই শারজাকে আরও উত্তপ্ত করে ফেলে।
ক্রিজে এসেই সাকিব আল হাসান দ্বিতীয় বলেই চারিথ আসালাংকাকে চার মারেন। তবে এদিন সাকিবকে আত্মবিশ্বাসী দেখালেও ৭ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। আফিফ হোসেন রানআউট হয়ে ফেরেন ৬ বলে ৭ রান করে। মুশফিকের সঙ্গে ৫ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ৭ বোলার ব্যাবহার করেছে। তবুও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রানের চাকা থামাতে পারেনি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন বিনুরা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা। সর্বোচ্চ চার ওভার করে বোলিং করেছেন কুমারা ও দুশমন্থ চামিরা। কুমারা ২৯ রান দিয়ে উইকেট পেলেও চামিরা দেখা পাননি উইকেটের।