শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » আইভীকে ঠেকাতে হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবেন না : আইভী
আইভীকে ঠেকাতে হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবেন না : আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এ নারায়ণগঞ্জে যারা জাতীয় স্বার্থ বাদ দিয়ে ব্যাক্তি আইভীকে নিয়ে রাজনীতি করে তাদের ধিক্কার জানাই। যখন আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাড়িয়ে এই বিদেশি চক্রান্তকে রুখে দেয়ার কথা। সেখানে নারায়ণগঞ্জের চুনোপুঁটি নেতারা আইভীর বিরুদ্ধে দাড়িয়ে কথা বলেন তখন আপনারা শেখ হাসিনারও বিরুদ্ধাচারন করেন। দেশ যখন অস্থির তখন শহীদ মিনারের মত পবিত্র জায়গায় দাড়িয়ে মিথ্যাচার করে আমি মনেকরি তারই এই দাঙ্গা লাগানের জন্য উসকানি দিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে বিগত এক বছর যাবৎ সুপরিকল্পিত ভাবো এটা ঘটানোর জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছিল। আমি তাদের সাবধান করতে চাই। সকালে যারা গুড়ে হাত দেখান রাতে যারা পরিকল্পনা করেন তাদের সাবধান করতে চাই। শহরে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দেখানোর জন্য আইভীকে ভোট দিবেন না বলে ষড়যন্ত্রের জন্য হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবেন না।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শানৃতি ও সম্প্রীতির মানববন্ধনের ডাক দেন সিটি মেয়র আইভী। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে নিজ বক্তব্যে একথা বলেন মেয়র আইভী।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ এ মানববন্ধন পালন করছে শান্তি সম্প্রীতির জন্য। একে অন্যের সাথে হানাহানি মারামারির জন্য নয়, আমরা শান্তি চাই।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য একসাথে বসবাস করার ঐতিহ্য। একসাথে আমরা হাসবো খেলবো কাঁদব আনন্দ করবো। আমরা একে অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল থাকব এটাই আমাদের দল শিক্ষা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ কখনও সামপ্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী নয়। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনার আওয়ামী লীগ নয়। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হশে সোনার বাংলা গড়ার চেষ্টা করবো এ দেশ ও এই ভূখন্ড দিয়েছে। তারই কন্যা শেখ হাসিনা। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে বাংলাদেশ তিনি বিনির্মান করছেন। সেই বাংলাদেশ বিনির্মানের খবর যখ দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তখন একটি কুচক্রী মহল ইচ্ছাকৃত ভাবে এ বাংলার জনগনকে প্রতিহত করার জন্য এভাবে হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা বাধানের কাজটি করছে। এ দেশের ছোট বাচ্চাটিও বুঝতে পারে এটি কত বড় সাজানো ঘটনা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা খুবই সস্তা পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। এই দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না।
তিনি বলেন, ইসলাম কখনও হিংসার অনুমতি দেয় না। ইসলাম বলেছে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা মুসলমান নয়, তারা জঙ্গি। আর জঙ্গিদের কোন ধর্ম নেই। সেই জঙ্গিরা হিন্দুও হতে পারে বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কিংবা মুসলমানও হতে পারে। জঙ্গিদের কোন ধর্ম থাকতে পারে না। কারন কোন বিবেকবান মানুষ কোন মানুষের ওপর হামলা করতে পারে না, কুপিয়ে হত্যা বা আগুন লাগাতে পারে না। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা কঠোর অবস্থানে আসেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ অসম্ভব অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। এখানে কেউ অন্য ধর্মের প্রতি কেউ কটুক্তি করে না। আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সকল ধর্মকে সমান ভাবে সম্মান দিয়ে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। আপনারা দেখেছেন পূজার সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন অসম্ভব তৎপরতার সাথে কাজ করে থাকে। বড়দিনের সময়ও আমরা বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকি। আমাদের শেষ ঠিকানা কবরস্থান শ্মশান প্যাগোডা সব একসাথে। এখানে আমরা কাউকে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেব না।