মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ইতালিতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
ইতালিতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাসে অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে ইতালিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান।
শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ কনস্যুলেট-এ কর্মরত কর্মকর্তাদের নিয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, এ সময় মিলানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার শান্তি ও বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কনসাল মো. শামসুল আহসান এবং শ্রম কনসাল সাব্বির আহমেদ। এরপর শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত কয়েকটি প্রামাণ্য চিত্র এবং স্মৃতিচারণমূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতীয় শহীদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে মিলানস্থ বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে এবং মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সহযোগিতায় প্রকাশ করা হয় একটি দেয়াল পত্রিকা। অনুষ্ঠানে দেয়ালিকার মোড়ক উন্মোচন করেন নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ।
আলোচনা পর্বে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সূচিত সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন কনসাল জেনারেল।
সভাপতির বক্তব্যেকনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিশু অধিকার সংরক্ষণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ৪০টি অর্থনীতির মধ্যে একটি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বহুসূচকে প্রভূত উন্নতি করেছে। শিশু অধিকার বাস্তবায়ন ও তাদের জন্য দেশকে পুরোপুরি নিরাপদ করে তোলার মাধ্যমেই শেখ রাসেলের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
সব শেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরি সমাপ্তি ঘটে।