শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে - রাষ্ট্রপতি
কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে - রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতার পথ ধরেই গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আগামীকাল ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষি অন্তপ্রাণ। সদ্যস্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেন। জাতির পিতা গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে যে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও পদক্ষেপে দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ফল, সবজির উৎপাদন অনেক গুণ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে উৎপাদিত মাছ এবং মাংস উৎপাদনে দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিপণ্যে রফতানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষিকে লাভজনক করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এ সব উদ্যোগ দেশের কৃষি উৎপাদনকে আরো বেগবান করার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ছোট ভূখন্ডের বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষি জমির ওপর চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে খাদ্য উৎপাদন জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়লেও উৎপাদন পরবর্তী সংগ্রহ ও পরিবহণকালীন অপচয়ের কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হচ্ছে।
ভবিষ্যতে মানুষের জন্য নিরাপদ, পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে অপচয় কমিয়ে সুষম পুষ্টিকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া শস্যের বহুমুখীকরণ ও ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার, কৃষি আধুনিকীকরণ, প্রতিকূলতাসহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বিশ্ব খাদ্য দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।