বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | শিরোনাম | সিদ্ধিরগঞ্জ » আপনার আমার যা আছে সবই সরকারের সম্পদ : মেয়র আইভী
আপনার আমার যা আছে সবই সরকারের সম্পদ : মেয়র আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জে জায়গার পরিমান খুবই কম। ১ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের মাঠ করার জন্য অথবা অন্যকিছু করার জন্য যেমন বন্দরে প্রচুর জায়গা আছে এখনে কম। যার ফলে আমাদের মাঠ পার্ক ইত্যাদি করতে একটু অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। তখনই দেখলাম কাজ করার জন্য এই অঞ্চলে বিশাল বড় একটা লেক। মানুষের জন্যও এতে অনেক সুবিধা হবে। আমি জাইকা থেকে প্রজেক্ট নিয়ে এ কাজটা করছি। ডিএনডির কাজের সাথে আমাদের লেকের কাজের কোন সম্পর্ক নেই। এই লেকের কাজ আমরা সম্পূর্ণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে করছি, প্রায় একশ কোটি টাকার কাজ এটা। আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাজ করার চেষ্টা করছি যেখানে জায়গা আছে। আমাদের অপজিটে কবরস্থান, এর পেছনেই বিশাল বড় একটা পুকুর আছে। সেই পুকুরটা সংরক্ষণ করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জ ৬ নং ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাঝে আবার আসি কী না আসি তা জানি না। কিন্তু যেই আসুক না কেন এ কাজগুলো করে দিতে সে বাধ্য থাকবে। কারন আমি অনেকগুলো কাজের শুরু করে দিয়েছি আল্লাহ যাকে পছন্দ করবে তার হাত দিয়েই কাজ করাবে। ছয় নং ওয়ার্ডের মেইন রাস্তাটা আমি করতে পারিনি। আমরা টেন্ডার হওয়ার পরও ডিএনডি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এ কাজটা বন্ধ রেখেছি। কারন এখান দিয়ে পাম্প চালু হবে। পরবর্তীতে তারা রাস্তাটা আবার করে দেবে। যার কারনে আপনাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া ৬ নং ওয়ার্ডে দুয়েকটা ছোট খাটো রাস্তা ড্রেন বাদে কোন কাজ বাকি নেই। ইনশাআল্লাহ আমরা ভবিষ্যতে সেগুলো করে দেব। আমার ৩৬ জন কাউন্সিলরের মাঝে আমি কখনও ভেদাভেদ করিনি করবোও না ইনশাআল্লাহ। আমি কখনও চিন্তা করিনি কে কোন দল করে বা কে কার লোক। আমি চেষ্টা করেছি আমার জনগনকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য। সাধারণ মানুষ যা করতে বলেছে তাই করেছি। চেষ্টা করেছি আপনাদের কথামত কাজ করতে।
মেয়র বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বড় একটা ওয়াটার প্ল্যান্ট যেখানে নদী থেকে পানি এনে পরিশোধিত করে আপনাদের দিতে পারব। আমরা সে প্রকল্পের কাজ করার চেষ্টা করছি। আপনাদের অনেকের মনে একটা প্রশ্ন। আমাদের পানি নেই যথেষ্ট তারপরেও আপনারা পানির বিল ধরছেন কেন। পানি পর্যাপ্ত না থাকলেও আপনারা কিন্তু পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন। কারন প্রত্যেকের বাড়িতে ডিপ বসানো আছে। এই ডিপ থেকে যে পানিটা তুলছেন সেটাও কিন্তু সরকারের সম্পদ। এই দেশের মধ্যে আপনার আমার যা আছে সবই সরকারের সম্পদ। সরকারি সরকারের সম্পদ বলেই বাড়িঘর ও ভূমি ট্যাক্স সরকারকে দিতে হয়। সুতরাং পানির ট্যাক্সও আপনাদের দিতে হবে৷ এটা নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। আমি পরিস্কার ভাবে বলতে চাই যার যার বাড়িতে ডিপ আছে এবং সেখান থেকে পানি উত্তোলন করছেন সেটারও একটা ফি আছে। সেই টাকাটা সব জায়গায় ৩ পার্সেন্ট সে অনুযায়ী ধরেছি। আমি কী কারনে আমার জনগনের ওপর চাপ সৃষ্টি করবো, নিশ্চয়ই না। যদি সিটি করপোরেশন বিভিন্ন ভাবে লাভবান হয় তাহলে অবশ্যই জনগনকে ট্যাক্স কমিয়ে সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন, আমার ভেতর বাহির এক সমান। আপনারা আমাকে ট্যাক্স দেবেন। আমি আপনাদের ভাল সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো, এটাই নিয়ম। আমি যেখানে যা করনীয় তা করার চেষ্টা করি। আমরা বিবেকবান মানুষ, একবার বুকে হাত দিয়ে চিন্তা করুন এই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় আমি কী পরিমান কাজ করেছি। এমন কোন ওয়ার্ড নেই যেখানে রাস্তাঘাট পাকা হয়নি, ড্রেন হয়নি। জলাবদ্ধতা যেখানে হয় সে উত্তরদিকে আমার করনীয় কিছু নেই। কারন সেখানে পানি বোর্ড কাজ করছে পাম্প ঠিক করা হচ্ছে। এগুলো সম্পন্ন হলে কিছুটা সমাধান হবে তবে সম্পূর্ণ সমাধান হবে না। যত টাকা দিয়ে পাম্প করা হল তত টাকা দিয়ে জমিটা উচু করে দিলেই আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতাম। ভবিষ্যতে দেখব কীভাবে এ সমস্যাটার সমাধান করা যায়। আপনার কাছে কারও বিরুদ্ধে কিছু বলে ছোট বড় করার মানসিকতা আমার নেই৷ আমি কাজ পাগল মানুষ, কাজ নিয়েই থাকি। যদি দেখেন আমি সঠিক কাজ করছি তাহলে আমাকে সাপোর্ট করবেন নয়ত করবেন না।