বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বৈঠক
তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বৈঠক
আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর তালেবানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে যুক্তরাজ্য। আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এই বৈঠক করেন কাবুলে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্টিন লংডেন ও সাইমন গ্যাস।
কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক তৈরির রাস্তা তৈরি হলো। যদিও যুক্তরাজ্য এখনই সে কথা বলতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য, শুধু মাত্র মানবিক বিষয়গুলিকে সামনে রেখে এদিন তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারা। খবর রয়টার্সের
আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মার্টিন লংডেন এবং সাইমন গ্যাস আফগানিস্তানে যাওয়ার পর মঙ্গলবার তালেবান মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এই বৈঠক করেন। বৈঠকের পর লংডেন টুইট করে একটি ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই মতের মিল হয়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের দাবি, কয়েকটি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা। তাদের দাবি মেনে নিলে আফগানিস্তানে এখনো আটকে থাকা ব্রিটিশ এবং দেশের বাইরে যেতে চাওয়া আফগান নাগরিকদের সেফ প্যাসেজ দিতে হবে, হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং নারীদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে তালেবানকে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের সমস্ত অ্যাসেট ফ্রিজ করে দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিদেশ থেকে আফগানিস্তানের সমস্ত সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে যার ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে তালেবান। ফলে তারা চাইছে, দ্রুত পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে সমঝোতায় যেতে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক তারই অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছে তারা।
তবে অ্যামনেস্টির মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি অবশ্য বলছে, মুখে শান্তির কথা বললেও আফগানিস্তানে একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে।