শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » “ডিসেম্বরের মধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে দেশের ২০ ভাগ ও পর্যায়ক্রমে ৪০ ভাগ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে” - স্বাস্থ্যমন্ত্রী
“ডিসেম্বরের মধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে দেশের ২০ ভাগ ও পর্যায়ক্রমে ৪০ ভাগ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে” - স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গতকাল ১ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক Dr Tedros Adhanom Ghebreyesus এর সাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক,এমপি একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বেশ ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আলোচনার প্রথম পর্যায়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী আমরা ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাক্সিন পাঠানোর অনুরোধ জানালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক পর্যায়ক্রমে দ্রুতই ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাক্সিন পাওয়া সম্ভব হবে এবং খুব অল্প সময়েই দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ভ্যক্সিন পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকেও আমাদের ভ্যাক্সিন ক্রয়ের কাজটিও চলমান থাকবে।”
বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, দ্বি-পাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটিতে বাংলাদেশেই ভ্যাক্সিন উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।পাশাপাশি, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভ্যাক্সিন টেস্টিং ক্যাপাসিটি অব দা ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি এর এক্রিজিটেশন প্রদানের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করবেন বলেও জানিয়েছেন মহাপরিচালক।
গতকাল ০১ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মধ্যে একটি দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে এক বিবৃতির মাধ্যমে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে গত দেড় বছরে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ কি কি উদ্যোগ নিয়েছে তা তুলে ধরলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভ্যাকসিন প্রদানে বাংলাদেশের সফলতার কথা উল্লেখ করেন এবং দু’টি বড় মাপের সফল ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করার বিষয়টি তুলে ধরেন। এর মধ্যে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে এবং এই কাজে সরকারি, বেসরকারি মিলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ভ্যাক্সিন প্রদানে বাংলাদেশ নজির সৃষ্টি করেছে বলে জানান ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুয়সী প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের নিকট কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজার ও মডার্ণার ভ্যাক্সিন আরো বেশি সংখ্যক পরিমানে পাবার অনুরোধ জানালে মহাপরিচালক বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালকদের সাথে Dr Jaouad Mahjour, Assistant Director-General, Emergency Preparedness and International Health Regulations এবং Dr Bruce Aylward, Senior Advisor to the Director-General, Organizational Change -সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কামরুল হাসান, উপসচিব মোঃ সাদেকুল ইসলাম ও ঢাকার তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্স-এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মফিজুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।