শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
সোমবার, ২৩ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস’
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস’
২০৬ বার পঠিত
সোমবার, ২৩ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আজ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস’

---

আজ ২৩ আগস্ট। দিনটিকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সেনা সদস্যের হাতে একজন ছাত্র লাঞ্ছিত হন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এরই প্রতিবাদে শিক্ষকরা প্রতিবছর ২৩ অগাস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।

২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনা সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওই বছরের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের মধ্যকার ফুটবল খেলা নিয়ে শিক্ষার্থী ও সেনা সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। সেনা সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম সেনা সদস্যদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন। এর প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা সেনা সদস্যদের ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। কিন্তু সেনা সদস্যরা তা প্রত্যাখান করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

এর পরদিন ২১ আগস্ট নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন ক্যাম্পাসে। তখন তাদের ওপর আক্রমণ চালায় পুলিশ। নীলক্ষেত, টিএসসি, কার্জন হল এলাকাসহ ক্যাম্পাস পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে আহত হন শত শত ছাত্র। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র থেকে ক্যাম্প সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী।

এর পরদিন ২২ আগস্ট এই আন্দোলন গোটা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২২ আগস্ট বিভাগীয় শহরগুলোতে কারফিউ জারি করে। ওই দিন সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাবির আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর ২৩ আগস্ট রাতে আটক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে। তাদের চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় অজানা স্থানে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুর রহমান খান, আবদুস সোবহান, মলয় কুমার ভৌমিক, দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, আবদুল্লাহ আল মামুন ও সেলিম রেজা নিউটনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাবির আরও দুই শিক্ষকসহ ৫ ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ঘটনার পর দীর্ঘ ৬৬ দিন পর খুলে দেওয়া হয় ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নির্যাতনবিরোধী ব্যানারে মাঠে নামে। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির আন্দোলনও বেগবান হতে থাকে। ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তি আন্দোলনের কাছে হার মানে তৎকালীন সরকার। বাধ্য হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রতি বছরের মতো এবারও দিনটি উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসটি সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ‘তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মূলত বেসামরিক সরকারের চেহারায় সামরিক সরকার ছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের প্রভাব বিস্তার শুরু করে। আর রাজনীতিতে এই সামরিক হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে। এই হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের স্বৈরতান্ত্রিকতা চর্চার কারণে। তখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকরাও এসেছিল। ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়নসহ বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছিল। তখন গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।’

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে যেকোনও আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা সম্মুখ সারিতে থেকে আন্দোলন করে সফল হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে পর পর পাঁচবার সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়। ক্ষমতা হরণ করার পর মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করার চেষ্টা তারা বারংবার করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের ক্যাম্প ও ঘাঁটি গেড়েছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর এক ধরনের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করেছিল। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে উৎখাত করে।’



এ পাতার আরও খবর

দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ
ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত
ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ
মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক
বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে

আর্কাইভ