সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » দুবাই এক্সপোতে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন তুলে ধরবে সরকার
দুবাই এক্সপোতে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন তুলে ধরবে সরকার
আগামী ১ অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০, দুবাই’। ছয় মাসব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এক্সপোতে বিশ^বাসীর কাছে বাংলাদেশের ৫০ বছরের অর্জন তুলে ধরবে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক ও ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপের পরে তৃতীয় বৈশ্বিক ইভেন্ট হিসেবে ওয়ার্ল্ড এক্সপো মূলত বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও সংস্কৃতি বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে কতদূর এগিয়েছে এবারের এক্সপোতে সেটা তুলে ধরা হবে।’
তিনি জানান, এক্সপেতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সেখানে দ্বিতল বিশিষ্ট ভাড়া করা প্যাভিলিয়ন স্থাপন করেছে এবং ইতোমধ্যে প্রদর্শনীর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এক্সপো ২০২০ গতবছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারি কারণে সেটা পিছিয়ে যায়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রথমবারের মত এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ইটালির মিলানে ওয়ার্ল্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতি, সাফল্য এবং বাণিজ্য সম্ভাবনা যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধন করছে এবং প্রযোজ্য পণ্য, অডিও-ভিজ্যুয়াল, ডকুমেন্টারি দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। সম্ভাবনাময় পণ্যের পাশাপাশি কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সম্পর্কিত পণ্য সম্ভার প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান।
এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্জনকে বিশ্ববাসীর কাছে শক্তিশালীভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সমগ্র মেলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা প্রচার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হবে। নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অর্জন, পণ্য, ধারণা উদ্ভাবন, জাতীয় ব্র্যান্ড,পর্যটন এবং ইতিবাচক ব্যবসায় পরিবেশ প্রচারের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার চেষ্টা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ওয়ার্ল্ড এক্সপো অন্য মেলার মত না। এখানে পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সাফল্যকে সামগ্রিকভাবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার বড় সুযোগ আছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনকে তুলে ধরতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সব দেশের প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের পতাকা উঠানো হবে।
এবারের এক্সপো আয়োজনের মূল থিম ‘কানেকটিং মাইন্ডস, ক্রিয়েটিং দ্য ফিউচার’ এবং সাব থিম তিনটি অপরচিউনিটি, মবিলিটি ও সাসটেইনেবিলিটি। আর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের এক্সিবিশন টাইটেল নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’।
এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সেমিনার এবং বিটুবি সভার আয়োজন করা হবে।