শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রাজশাহী | শিরোনাম » বিশ্ব মানবতার কন্ঠস্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা - পলক
বিশ্ব মানবতার কন্ঠস্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা - পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘সারা বিশ্বের অনগ্রসর জনপদের ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির দাবিতে সোচ্চার জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব মানবতার কন্ঠস্বর। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে করোনা মহামারী প্রতিরোধে অনগ্রসর এশিয়া ও আফ্রিকার জন্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।’
শনিবার সকাল দশটায় নাটোরের সিংড়া কোর্ট মাঠে স্থাপিত মুক্তমঞ্চে আয়োজিত উপজেলার আড়াই হাজার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
একই মঞ্চে প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে জনস্বাস্থ্য বিভাগের ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পের আওতায় ৩০টি সাব-মার্সিবল পাম্প, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত পাঁচটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুকূলে অনুদানের চেক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে ১২টি হুইল চেয়ার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের অর্থায়নে উপজেলার ৬০ জন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ এবং শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঝে পাঁচ হাজার গাছের চারা বিতরণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলাতে ২৬ মিনিটের ভাষণে করোনাভাইরাসের টিকাকে একটি দেশ বা প্রতিষ্ঠানের নয় উল্লেখ করে টিকাকে সার্বজনীন করার দাবিতে সোচ্চার হন। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে একই দিনে একই স্থানে অর্থাৎ জাতিসংঘে বিশ্বের নিপিড়িত মানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বৈষম্যমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে সারা বিশ্বের সকল দেশ ও মানুষের জন্যে প্রযুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি উত্থাপন করেছিলেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। করোনা সংক্রমণের দীর্ঘ সংকটকালে ডিটিজাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলেই দেশের কোন কার্যক্রম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো থেমে থাকেনি। বাড়িতে বসে দেশের সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশ অনলাইনে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা করেছেন। ১১ হাজার সরকারি দপ্তরের এক লক্ষাধিক কর্মকর্তা অনলাইনে ই-নথির মাধ্যমে জনসাধারণের কাজ করে গেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘২০২০ এবং ২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে তিনটি কারণে। প্রথমত কৃতজ্ঞ জাতি শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার জন্মশতবার্ষিকীতে। দ্বিতীয়ত অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের কাঙ্খিত গন্তব্যে বেগবান পথচলায় আমরা উদযাপন করছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এবং তৃতীয়ত বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার আধুনিক রুপ প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা সফলতা লাভ করেছি।’
দেশ ও মানুষের কল্যাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘তার কর্মদক্ষতা ও দূরদর্শীর কারণেই বিশ্বের করোনা মহামারীর সংকটে মাত্র পাঁচটি উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার ধারাবাহিক পথপরিক্রমায় দেশ ২০৪১ সালে পৌঁছে যাবে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে। ’
সিংড়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সঞ্জয় কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন।