শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » জাতির পিতা সম্পর্কে বললে আমরা গৌরবান্বিত হই - মতিয়া
জাতির পিতা সম্পর্কে বললে আমরা গৌরবান্বিত হই - মতিয়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বললে তিনি গৌরবান্বিত হন না, আমরাই গৌরবান্বিত হই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
শনিবার জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার শত পুরস্কার প্রদানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা যে কথা বলতেন সে কথা তিনি বিশ্বাস করতেন। তিনি বলতেন, ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও আমি বলবো বাংলা আমার ভাষা, আমি বাঙালি। এটা শুধু ওনার বক্তৃতার ভাষা ছিল না, এটা ছিল ওনার হৃদয় উৎসারিত সারাজীবনের তাপস্যা।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বললে তিনি গৌরবান্বিত হন না, আমরাই গৌরবান্বিত হই। আমরা ধন্য হই। আমরা সেই রাজনৈতিক দীক্ষার পথে তিল পরিমাণ হলেও এগিয়ে যাই। জাতির পিতা আপনি আকাশের কোন তারা হয়ে আছেন আমরা জানি না, ধ্রুবতারার চেয়েও আরও উজ্জ্বল তারা আপনি আমাদের কাছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘জাতির পিতা আপনি আজকে দেখে যান। আপনাকে সপরিবারে শেষ করে ওরা ভেবেছিল বাংলাদেশের সমস্ত সম্ভাবনা করে শেষ করে দেবে, নস্যাৎ করে দেবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবে। আজকে সেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পার্লামেন্টে মেম্বাররা বলছে, মুঝে বাংলাদেশ বানা দি যে। একটা বাংলাদেশ হওয়ার জন্য পাকিস্তানের পার্লামেন্টে মেম্বাররা আকুতি জানাচ্ছে।’
ভারচুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের শিশুরা ছবি আঁকতে শিখেছে এটাই আমাদের গর্বের। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছবি এঁকেছে তার অর্থ বঙ্গবন্ধু তাদের বুকে গেঁথে গেছে। এই প্রতিযোগিতার আয়োজনে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।
চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুদের প্রতি জয়বাংলা শুভেচ্ছা রইলো। আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ দিচ্ছি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রমাণ মিলেছে। তোমাদের প্রতি অসংখ্য ভালোবাসা রইলো। আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি, আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ। বাঙালীদের রক্তে রয়েছে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি। এটা আমাদের জন্য গর্বের।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ।
ভার্চয়ালি যুক্ত হয়ে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মারশাফী বিন মর্তুজা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এঁকে চার বিভাগে ১০০ জন পুরস্কার অর্জন করা শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।